সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে গা জোয়ারি করা যাবে না বলে দলের নেতাদের আগেই সতর্ক করে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত সেপ্টেম্বর মাসে চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে সমাবেশেও করেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও দাদাগিরি নয়। প্রশাসনিক কাজে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করবেন না। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের সঙ্গে সঙ্গেই, উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।গত বছর, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার, উত্তরবঙ্গের এই ৪ জেলার শীর্ষ তৃণমূল নেতা এবং শাখা সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। এর পর উত্তরবঙ্গে একাধিক সভা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন তিনি।
advertisement
সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারের নেতাদের অভিষেক তখনই বলেন, 'এখন থেকেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হবে।' জেলার সমস্ত চা বাগান এবং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল নেতাদের। সূত্রের খবর, আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে মাথা রেখে, জলপাইগুড়ি জেলার ৭৮টি চা বাগানেই সমাবেশ করার পরিকল্পনা আছে তৃণমূলের। সমস্ত চা বাগান নিয়ে বৃহত্তর সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ির দলীয় নেতৃত্বকে বলা হয়েছে, পুরসভার উন্নয়নে জোর দিতে।
২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের ৩৪ শতাংশ আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেও, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল বাংলাজুড়ে। এরপর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খায় তৃণমূল।উত্তরবঙ্গের একটিও লোকসভা আসনে জিততে পারেনি তারা। তৃণমূলের অন্দরেও অনেকেই স্বীকার করেন, ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে গা জোয়ারির প্রভাব পড়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে কিছুটা জমি ফেরাতে সক্ষম হয় তৃণমূল। এবার সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সে কথা মাথায় রেখেই দলকে এখন থেকে তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আলিপুরদুয়ার দিয়ে পঞ্চায়েত প্রচারের কার্যত সূচনা করবেন তিনি।
আবীর ঘোষাল