কংগ্রেসের খামতির কথা তুলে ধরে অভিষেকের সংযোজন, ''দিল্লি থেকে বসে চারটে প্রেস কনফারেন্স ও ট্যুইট করলে হবে না। আমি কলকাতায় বসে ত্রিপুরা জিতব, এটা হয় না। হাজার আইনি লড়াই, বিপত্তি উড়িয়ে আমি তো ত্রিপুরা আসছি। তাই কংগ্রেসকে দুর্বল করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
বিজেপিকে হারানোই আমার কাজ।''
বস্তুত এ রাজ্যের মতোই আরও নানা রাজ্যে অন্য দল থেকে নেতা-কর্মীদের নিজেদের দিকে টানছে তৃণমূল। তবে, সেই দলবদল প্রসঙ্গে এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ''কাউকে জোর করে দলে নিয়ে আসা হবে না। কেউ স্বেচ্ছায় আসতে চাইলে দলে স্বাগত। কিন্তু ভয় দেখিয়ে কাউকে দলে আনা হবে না। নিঃশর্তে দলে আসতে হবে। মাঠে ময়দানে পরে থেকে লড়াই করতে হবে। আগামী এক বছর রাস্তা মসৃণ নয়। কারণ শূন্য থেকে শুরু করেছি আমরা।''
advertisement
আরও পড়ুন: 'খরচাও কমে, সম্পর্কও বাড়ে', BJP-কে অনুসরণ করছে তৃণমূল! বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
ত্রিপুরায় তৃণমূলের উত্থান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক এদিন বলেন, ''আক্রমণ তৃণমূলের উপরেই হচ্ছে। সিপিএম ১৬ আসন পেয়েও গঠনমূলক বিরোধিতা করেনি। ২০১৩-র তৃণমূল আর ২০২২-এর তৃণমূল আলাদা। তৃণমূল যে শক্তি নিয়ে এখন ঝাঁপিয়েছে তা আগে ছিল না ত্রিপুরায়।''
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরেই বাজারে? ক্রেতা-বিক্রেতারা সাবধান! কী হবে জানেন? মেয়র ফিরহাদ জানালেন...
ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূল যে যথেষ্ট আশাবাদী এদিন তা ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতা। অভিষেকের কথায়, ''আগামী কিছু মাসের মধ্যেই নতুন পার্টি অফিস হবে এখানে। রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে যাবে চলতি মাসেই। বাকি কমিটি সময় সাপেক্ষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুখ যোগ দিতে চাইছে। তাঁরা আগে যোগ দিক। মমতা বন্দোপাধ্যায় এখন জাতীয় মুখ। তাঁকে দেখেই আশার আলো দেখছে মানুষ। ময়দান ছেড়ে যাওয়া যাবে না। মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। ত্রিপুরার জন্যে আলাদা করে দলের মুখপাত্র নিয়োগ হবে।''