তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতির টিপ্পনি, বিপ্লব দেবের ডান-বাঁয়ের নিকটজন তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ছলের আশ্রয় নেবে না তাঁর দল।
অভিষেক বক্তব্য শুরু করার আগেই এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেন। ইঙ্গিতটা তিনিই ছেড়েছিলেন। বলেছিলেন, অভিষেকের আসাটা ট্রেলার। পিকচার আভি বাকি হ্যায়। আর সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অভিষেক বললেন, "বিপ্লববাবু আপনার মনস্কামনা পূর্ণ করব৷ ডিসেম্বর মাসে বিবেকানন্দ ময়দানে মমতা বন্দোপাধ্যায় সভা করবেন।"
advertisement
ত্রিপুরায় পৌঁছতে পদে পদে বাধা পেতে হয়েছে অভিষেককে। কোভিড বিধি রাতারাতি বদলেছে সরকার। শেষ মুহূর্তে চাপ দেওয়া হয় সভাস্থল বদলানোর জন্য়েও। সেই নির্দেশ তুলতে কোর্টে দৌড়তে হয়েছে। এ প্রসঙ্গ তুলে এদিন অভিষেক বলেন, "আমাকে এত ভয় কিসের? আমার তো ৩৪ বছর বয়েস। আপনি তো ২০ বছরের বড় আমার থেকে। আপনার তো দুয়ারে গুন্ডা, প্রশাসন, এজেন্সি সব আছে। অভিষেকের তোপ, বিপ্লব দেবের রাগ আমার বিরুদ্ধে। আমার জন্যে ১৪৪ ধারা করে ত্রিপুরার মানু্ষকে সমস্যায় ফেলছেন কেন? ভয় তো আমাকে। তার জন্যে কোভিড গাইডলাইন বদলে দিয়েছে। আরে আমি তো RTPCR, ডাবল ডোজ সার্টিফিকেট দেব।"
এর পরেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রুটম্যাপটা স্পষ্ট করলেন তিনি। বললেন," ২০২৩ এর আগে আমি এখানে ঘর-বাড়ি নিয়ে বসে থাকব।
শরীরের শেষ রক্ত দিয়ে এখানে লড়াই করব। এক ছটাক জমি দেব না
বিপ্লববাবুর আগে সিপিএম কংগ্রেস দেখেছেন। এবার টিএমসি দেখবেন।"
ত্রিপুরায় বারংবার পুলিশি চাপের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। খোদ কুণাল ঘোষকে একাধিকবার ডাকা হয়েছে থানায়। অভিষেক এই প্রসঙ্গে বললেন, পুলিশ-প্রশাসনকে দোষ দিচ্ছি না। কারণ ওনারা চাপে থাকে।
বিজেপির সাথে আমাদের ফারাক কি? শুধু প্রশাসন কে বলব, কাঁধে অশোক স্তম্ভ আছে, পদ্মফুল নয়।
অভিষেকের টিপ্পনী কালকে কোর্টে জিতেছি, এবার ভোটে জিতব। তাঁর প্রতিশ্রুতি, কন্ন্যাশ্রী থেকে দুয়ারে সরকার-তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সব সুবিধেই পাবে ত্রিপুরাবাসী।