মেঘালয়ের বিশ্বাস জিততে অভিষেক জানিয়েছিলেন, “মেঘালয় দিল্লি বা গুজরাতের সামনে মাথা নীচু করবে না। উত্তর পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির। বিজেপির একাধিক বড় বড় নেতা এসেছিল বাংলায়। আমরা তাঁদের জায়গা কোথায় তা দেখিয়ে দিয়েছি।”মেঘালয়ে তৃণমূল যে ‘বহিরাগত’ নয় তা প্রমাণ করতে অভিষেক জানিয়েছিলেন, তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই থাকবেন কারণ মুকুল সাংমা-সহ বিধায়করা এখানেরই স্থানীয় বাসিন্দা।
advertisement
অভিষেক আরও বলেছিলেন, “এটা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস-বিজেপিকে, বিজেপি-কংগ্রেসকে সমর্থন করে। আমি মুকুল সাংমাকে ধন্যবাদ দেব যে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছেন। আমার অনুরোধ, বিজেপিকে ওদের পথ দেখিয়ে দিন। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে সেই পূর্ব দিক থেকেই।
আরও পড়ুন : শাসক বিরোধী 'কটুকথা' তরজায় ঝড়ের আশঙ্কা বিধানসভায়! 'কাউকে ছাড় নয়', আগাম বার্তা স্পিকারের!
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেছিলেন, “এখানে এক মুখ্যমন্ত্রী আছেন, যিনি এই রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে না থেকে দিল্লিতে ডিনার পার্টি যোগ দেন৷ আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করছি, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন?”এই লড়াই যে শুধুমাত্র ২০২৩ এর বিধানসভার নয় বরং ২০২৪-এর লোকসভার জন্যও তা স্পষ্ট করে দিয়ে তৃণমূলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছিলেন, “আমি সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করলাম। সব জায়গায় সব বাড়িতে আমরা যাব। মিসড কল দিন ৯৬৮৭৭ ৯৬৮৭৭ নম্বরে। কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করব। এই দূর্নীতি যুক্ত সরকারকে সরাতেই হবে। কনরাড সংমা মিথ্যা কথা বলে সরকারে এসেছেন। ২০২৪-এ গণতান্ত্রিক সূর্য পূর্ব দিক থেকেই উঠবে।” যা যা ঘোষণা বা বক্তব্য তিনি রেখেছিলেন তা রাজনৈতিক ভাবে বাস্তবিক রূপ দেওয়ার জন্য মেঘালয়কে দিল্লির সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
