১৩০ কোটি দেশবাসীর স্বস্তি। অবশেষে দেশে ফিরলেন অভিনন্দন। ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডারকে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দিল ইসলামাবাদ। সীমান্তে প্রত্যর্পণের নথিপত্র তৈরি করতেই লেগে যায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা।
দেশের সুরক্ষা করতে গিয়ে শত্রুর হাতে আটক হয়েছিলেন। যুদ্ধবন্দি হওয়ার দু’দিন পর ঘরে ফিরলেন অভিনন্দন বর্তমান। মাঝের দু’টি দিন এই নামটাই বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে দেশবাসীর আলোচনায়, নেটিজেনদের পোস্টে। সব উদ্বেগ কাটিয়ে শুক্রবার রাতে অবশেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। শুক্রবার সকালে প্রথমে ইসলামাবাদ থেকে বিমানে লাহোরে আনা হয় অভিনন্দনকে । সেখান থেকে সড়কপথে ওয়াঘা রওনা হয় পাক রেঞ্জার্সের কনভয় । সঙ্গে ছিলেন এয়ার অ্যাটাশে জে ডি কুরিয়ন।
advertisement
অভিনন্দনকে নিয়ে ওয়াঘা সীমান্তে ঢোকে কনভয়। তারপর সীমান্তের কাস্টমস অফিসে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে নথিপত্র যাচাইয়ের কাজ। সেখানেই একপ্রস্থ শারীরিক পরীক্ষা হয় অভিনন্দনের। তাঁকে চা খেতে দেয় পাক রেঞ্জার্স। অভিনন্দনের সার্ভিস রিভলবারও ফেরত দেওয়া হয়।
সীমান্তের কাস্টমস অফিসে দীর্ঘক্ষণ নথি যাচাই করা হয় ৷ সেখানেই একপ্রস্থ শারীরিক পরীক্ষা হয় অভিনন্দনের ৷ তাঁকে চা খেতে দেয় পাক রেঞ্জার্স ৷ অভিনন্দনের সার্ভিস রিভলবারও ফেরত দেওয়া হয় ৷
পাক রেঞ্জার্সের ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’-এর পরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করানো হয় অভিনন্দনকে । ওয়াঘা সীমান্তেই কেটে যায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ৷ ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রশ অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে প্রত্যর্পণের ব্যবস্থা করতে হয়। তার জন্য প্রয়োজন বিস্তর নথিপত্র তৈরির কাজ। বন্দিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরানো হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতেই নথি তৈরি করতে হয়। অভিনন্দনের প্রত্যর্পণের জন্য এই নথিপত্র তৈরি করতেই পেরিয়ে যায় ৫ ঘণ্টা
অবশেষে নো ম্যানস ল্যান্ড পেরিয়ে দেশে ফিরলেন অভিনন্দন। আটারি সীমান্তে তাঁকে স্বাগত জানান বায়ুসেনার প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে সড়কপথে অমৃতসর এয়ারবেস এবং তারপর বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় অভিনন্দনকে।