অন্যদিকে শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনে চাঞ্চল্যকর মোড় সামনে এসেছে৷ তিনি খুন হতে পারেন, তাঁকে খুন করতে পারেন তাঁর প্রেমিক তথা লিভ ইন সঙ্গী আফতাব- এমন আশঙ্কা দু’বছর আগেই প্রকাশ করেছিেলেন শ্রদ্ধা৷ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন৷ সত্যি হল সেটাই৷ তখন পদক্ষেপ করলে বাঁচানো যেত শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে? প্রশ্ন উঠছে৷ শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের তদন্তে নেমে দু-বছর আগের সেই অভিযোগপত্র দিল্লি পুলিশের হাতে এল। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাসাই থানায় তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা।
advertisement
আরও পড়ুন- 'মানুষের জন্য জীবন দিতে রাজি আছি', 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ মমতার!
কী ছিল সেই অভিযোগপত্রে? শ্রদ্ধা লিখেছিলেন, আফতাব তাঁকে ছ’মাস ধরে শারীরিক নির্যাতন করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। মারধরে আহত হওয়ার একটি ছবি বন্ধুদের কাছে পাঠিয়েছিলেন শ্রদ্ধা৷ কাছের বন্ধুদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া কথোপকথনেও উল্লেখ ছিল সে সবের। খুন হতে পারেন, কাটা হতে পারে টুকরো টুকরো করে৷ প্রতি মুহূর্তে এই ভয় গ্রাস করত তাঁকে৷ সত্যি হল সেটাই৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অফতাব। তারপরে গুগল করে সে। সেখানে কীভাবে দেহ লোপাট করতে হয়, সেই বিষয়ে সন্ধান করে আফতাব। তারপরেই ধারালো সরঞ্জামগুলির সাহায্যে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে আফতাব। টুকরোগুলো যাতে পচন না ধরে তার জন্য ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ নিয়ে এসেছিল আফতাব। সেই ফ্রিজেই টুকরোগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছিল আফতাব। তারপরে প্রায় ১৮ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় সেই টুকরো গুলি ফেলে দিয়ে আসত আফতাব।
