কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন মনরেগার শ্রমিকদের দ্রুত আধার নম্বর জমা করার নির্দেশিকা জারি করে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, তার ভিত্তিতে কাজের অনুমতি দিতে অস্বীকার করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, “যদি কোনও উপভোক্তা কাজের দাবি না জানান, তাহলে আধার নম্বরের ভিত্তিতে মজুরি প্রদানের বিষয় কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কোনও উপভোক্তা আধারের মাধ্য়মে মজুরি পাওয়ার উপযুক্ত নন বা আধার সম্পর্কিত কোনও সমস্যা রয়েছে, এই যুক্তিতে তাঁর জব কার্ড বাতিল করা যাবে না।”
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, মোট ১৪.৩৩ কোটি উপভোক্তার মধ্যে ১৩.৯৭ জনের আধার যুক্ত করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। জমা হওয়া আধারের মধ্যে ১৩.৩৪ কোটি আধার যাচাই করা হয়েছে এবং ৮১.৮৯ শতাংশ উপভোক্তা আধারের মাধ্যমে মজুরি পেতে পারেন। মনরেগায় এবিপিএস বা আধার ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এবিপিএস মোড গ্রহণের শেষ তারিখ ধার্য করা হয় ৩১ অগাস্ট। এই সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও ফের সেই সময়সীমা বাড়ানো হল।
এই সময়সীমা প্রথমে ১ ফেব্রুয়ারি, যা পরে ৩১ মার্চ, তারপর ৩০ জুন এবং অবশেষে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানান, এই সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, সক্রিয় কর্মীদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই আধারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। জুন মাসে মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, মনরেগায় মোট ১৪.২৮ কোটি সক্রিয় সুবিধাভোগীর মধ্যে ১৩.৭৫ কোটির আধার নম্বর সিড করা হয়েছে। মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মোট ১২.১৭ কোটি আধার নম্বর যাচাই করে দেখা হয়। এর মধ্যে ৭৭.৮১ শতাংশ এবিপিএস-এর যোগ্য বলে পাওয়া গিয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে মনরেগার ৮৮ শতাংশ শ্রমিককেই এবিপিএস-এর মাধ্যমে মজুরি দেওয়া হয়েছিল।