পুলিশের এফআইআর-এ যুবতী অভিযোগ জানিয়েছেন, গত ১১ মে, অর্থাৎ বিয়ের প্রথম দিনই তাঁকে 'কুমারীত্ব পরীক্ষা' করানো হয় জোর করে। পরীক্ষায় 'ব্যর্থ' হতেই নববধূর উপর অত্যাচার চালানো হয়। এই ঘটনার পর, ৩১ মে, স্থানীয় মন্দিরে খাপ পঞ্চায়েত বসানো হয়। যেখানে যুবতীর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয় তাঁর স্বামীর পরিবারকে।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের বেশ কিছু আগে তাঁকে ধর্ষণ করে তাঁর এক প্রতিবেশী। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা রয়েছে সুভাস নগর থানায়।
আরও পড়ুন: মা-কে খুন করে ৭৭ পাতার সুইসাইড নোট লিখল ছেলে! কাণ্ড দেখে চোখ কপালে পুলিশের
আপাতত মেয়েটির শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুবতী পুলিশকে বলেন, ''বিকেলে যে রীতি অনুষ্ঠিত হয়, তাতে আমি ব্যর্থ হওয়ার পর মধ্য রাত পর্যন্ত আলোচনা হয়। আমি ভয়ের চোটে কিছু বলতে পারিনি। তার পর আমায় মারধর করেন আমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।''
আরও পড়ুন: মাথায় আঘাত থেকে রক্তক্ষরণ, দেহে একাধিক আঘাত, আর যা যা জানা গেল সাইরাস মিস্ত্রির অটোপ্সি রিপোর্টে
মণ্ডল ডিএসপি সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ''সমাজের অত্যন্ত খারাপ একটি প্রথা, কুকড়ি প্রথার শিকার এই মহিলা। সাঁসি গোষ্ঠীতে এই প্রথা দেখা যায়।''