গত শনি এবং রবিবার মণিপুরে গিয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। সেখানে ত্রাণ শিবিরের আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা সে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি রিপোর্টও তৈরি করেন। সোমবার সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সেই মণিপুরের রিপোর্ট পেশ করা হয়।
advertisement
তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব, কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং উপনেতা গৌরব গগৈ মণিপুরের তুলে ধরেছিলেন সেই রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মণিপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তা ভয়ঙ্কর। একইসঙ্গে মণিপুর ফেরত নেতারা আবেদন করেছেন,এই সময় সে রাজ্যে এমন কোনও শব্দ ব্যবহার করা উচিত হবে না, যাতে উভয় সম্প্রদায়েরই ক্ষতি হয়। সেই বৈঠকের পরেই সংসদে ফের তোলা মণিপুর ইস্যু।
মণিপুর নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে বলতে বাধ্য করার জন্য আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। আগামী ৮ অগাস্ট থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত এই আলোচনা চলার কথা৷ সম্ভবত, ১০ অগাস্ট বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
আরও পড়ুন: নাগাড়ে বৃষ্টি, উত্তাল সমুদ্র! নিম্নচাপের দাপট কমবে কবে? জেনে নিন লেটেস্ট ওয়েদার আপডেট
লোকসভার বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর৷ যদিও ওই বৈঠক বয়কট করেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা৷ তাঁদের দাবি ছিল, নতুন কোনও বিল পাশ স্থগিত রেখে আগে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হবে সরকারকে৷ আবার সরকার পক্ষের পাল্টা দাবি, এমন কোনও নিয়ম বা পূর্ব নজির নেই যে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে অবিলম্বে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে৷
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি আদায় করতেই মূলত এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধীরা৷ কারণ, সংখ্যা গরিষ্ঠতার নিরিখে মোদি সরকারকে অনাস্থা ভোটে বিপাকে ফেলা যে প্রায় অসম্ভব, তা বিরোধীরাও ভাল ভাবেই জানেন৷