আরও পড়ুন- নির্বাচনে জিতলে গরু পিছু মাসিক ৯০০ টাকা ভাতা! উত্তরপ্রদেশে ভোট টানতে মরিয়া যোগী
“আগামীকাল যখন অখিলেশ যাদব এখানে আসবেন... আমি অখিলেশকে বলব অযোধ্যা এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে,” বলেন যোগী। গরুর নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন যে রাজ্য সরকার গবাদি পশুর হাত থেকে কৃষকদের ক্ষেত রক্ষা করতে সহায়তা করবে। CNN-News18-কে আদিত্যনাথ আবারও জানান গরু রক্ষার জন্য বিশাল বড় করে ‘গৌশালা’ তৈরি করা হবে। “আমরা ‘গৌমাতা’র কল্যাণের জন্য কাজ করছি। অবৈধ কসাইখানা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমরা ‘গৌমাতা’দের আর জবাই হতে দেব না এবং আমরা কৃষকদের জমিকেও গবাদি পশুর হাত থেকে রক্ষা করব। যারা গরু পাচারে লিপ্ত ছিল এবং অবৈধ কসাইখানা চালাত তারা এখন খুব ভালো করে জানে ওদের সঙ্গে কী করা হয়েছে,” বলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।
advertisement
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে (UP Assembly Polls) জয়ী হওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী আদিত্যনাথ বলেন, “আমাদের স্লোগান হল, সবকা সাথ সবকা বিকাশ। জাত-ধর্মের রাজনীতিতে নিমগ্ন মানুষজন এটা বুঝতে পারবে না.. কিন্তু মানুষের আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গেই রয়েছে।”২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রাম মন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কী না জানতে চাওয়া হলে যোগী বলেন, “কোই রাম ভক্ত হি মুখ্যমন্ত্রী রহেগা!”
আরও পড়ুন–ভোটে জিতলে উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে বাইরে যাওয়া মানুষদের ডেকে চাকরি দেবে বিএসপি: মায়াবতী
এর আগে, সমাজবাদী পার্টিকে (SP) আক্রমণ করে যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালের আগে যখনই উত্তরপ্রদেশে চাকরির শূন্যপদ তৈরি হত, তখনই ‘সাইফাই পরিবার’ তোলাবাজি করতে বেরিয়ে পড়ত। “আমাদের সরকার যুবকদের ৫ লক্ষ সরকারি চাকরি দিয়েছে,” দাবি করেন যোগী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইটাওয়া জেলার সাইফাই গ্রাম হল সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং অখিলেশ যাদবের বাবা মুলায়ম সিং যাদবের (Mulayam Singh Yadav) জন্মস্থান।
সপা’র লক্ষ্য কখনই উন্নয়ন নয়, এমনটাই মনে করেন যোগী আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর মতে, এসপি, বিএসপি এবং কংগ্রেসের রাজনীতির ভিত্তিই হল “জাত, ভোট এবং ধর্ম”!
তাঁর সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের তালিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তিলোইয়ে একটি মেডিকেল কলেজও গড়া হচ্ছে। আমরা ওই মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। সমাজবাদী পার্টি জনগণকে এই মেডিক্যাল কলেজ দিতে পারেনি কারণ ওদের উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিটাই নেই।”