বুধবার শহরের সবচেয়ে জনবহুল সবজি মান্ডি এলাকায় দিবালোকে ডাকাতির ঘটনা সকলকে হতবাক করে দিয়েছে। সাইমন প্লাজার কাছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা মূল্যের ৯০০ গ্রাম সোনার এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে যখন একজন কর্মচারী দোকান থেকে সোনা নিয়ে অন্য জায়গায় যাচ্ছিলেন। বাইকে চড়ে দুই দুর্বৃত্ত ওই কর্মচারীর ই-বাইকটিকে ধাক্কা দেয় এবং তার পর ছুরি দেখিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনাটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটে এবং অভিযুক্তরা খুব সহজেই পালিয়ে যায়।
advertisement
ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বিভাগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুরো কোটা শহরের বিভিন্ন মোড়ে অবরোধ আরোপ করা হয় এবং বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ দল তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করা হচ্ছে এবং আহত কর্মচারী মহেন্দ্র সিংকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই লেনদেনের রুটটি কী ছিল এবং ডাকাতির পরিকল্পনায় ইতিমধ্যেই কোনও অন্য ব্যক্তি জড়িত ছিল কি না তাও পুলিশ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: ‘ভারত ছেড়ে বাড়ি ফিরে যান!’ ভারতের বিরুদ্ধে এবার বড় ষড়যন্ত্র চিনের! গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট, আড়াল থেকে কী এমন করলেন শি জিনপিং!
এটুকু বুঝে নিতে অসুবিধা নেই যে খুব সম্ভবত ওই দুর্বৃত্তরা অনেক দিন ধরেই এই দোকানের উপরে নজর রেখেছিল। তার পর সুযোগ বুঝে বুধবার সোনা ছিনতাই করে পালিয়েছে।
সিসিটিভির মাধ্যমে পুলিশ অনুসন্ধান করছে –
ঘটনাস্থলের আশেপাশে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ডিং অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। বাইক এবং দুর্বৃত্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও, অপরাধস্থল থেকে পালানোর সম্ভাব্য পথগুলি ট্র্যাক করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।
জুয়েলার্সদের মধ্যে আতঙ্ক, ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ –
এই ডাকাতির ঘটনার পর কোটার জুয়েলার্সদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পুলিশকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ী বলছেন যে, এই ঘটনা তাঁদের এবং সাধারণ নাগরিক উভয় তরফেরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ডাকাতির ঘটনা সমাধানের জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।