সন্ন্যাসীর নাম স্বামী শঙ্কর দাস৷ অনুদানের প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলছেন, "আমি সন্ন্যাসী হয়েই ৫০ বছর গুহায় কাটিয়ে দিলাম৷ গুহা দর্শন করতে আসা ভক্তদের অনুদানেই আমি বেঁচে আছি৷ আমি যখন ভিএইচপি-র(বিশ্ব হিন্দু পরিষদ) প্রচারের ব্যাপারে জানতে পারি, তখনই ঠিক করে নিই যে, আমরা যে মন্দির নির্মাণের জন্য এতদিন ধরে স্বপ্ন দেখছি, সেখানে চাঁদা দেব৷" ব্যাঙ্কও চমকে যায় যে, শঙ্কর দাসের অ্যাকাউন্টে এত বড় অঙ্কের ব্যালেন্স আছে দেখে৷ এরপর স্থানীয় আরএসএসের কর্মীদের সঙ্গে ব্যাঙ্ক থেকে যোগাযোগ করা হলে, তাঁরা বৃদ্ধ সন্ন্যাসীকে নিয়ে ব্যাঙ্কে আসেন ও তাঁর স্বপ্নপূরণ করেন৷
advertisement
উত্তরাখণ্ডে ভিএইচপি-র হয়ে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করার দায়িত্বে রয়েছেন রণদীপ পোখরিয়া৷ তিনি বলছেন, "অনুদান সংগ্রহের থেকেও আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার হলো এই প্রচারের মাধ্যমে দাসের মতো রাম ভক্তদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সেবার অনুভূতি প্রদান করা৷" তিনি জানিয়েছেন, নৈনিতালের একটি ১০ বছরের মেয়েও মন্দির নির্মাণের জন্য নিজের পিগি ব্যাঙ্ক ভেঙে ২৫০০ টাকা দিয়েছে৷
গত ১৫ জানুয়ারি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ও ভিএইচপি মিলে গোটা দেশে জুড়ে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। দেশের প্রায় ১৩ কোটি পরিবারে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে তাদের৷ শ্রী রাম মন্দির ধন সংগ্রহ অভিযান নাম দেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচির৷ প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৬ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছেন৷ শুরুর তিন দিনেই ১০০ কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করে রেকর্ড গড়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট।