ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোট এলাকায়। বুধবার রাজকোটের পদাধারী এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে এবং অপহরণকারীকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। কিশোরীকে বিক্রি করার আগের মুহূর্তেই পুলিশ সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম দয়ারাম ভিল। ভিল রাজকোটে একজন কৃষক শ্রমিকের কাজ করত। তিন সপ্তাহ আগে ওই ৮ বছর বয়সী কিশোরীকে সে অপহরণ করেছিল। বাড়িতে নিয়ে এসে কিশোরীর লালন পালন শুরু করে সে।
advertisement
এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কিরণ জাদেজা বলেছিলেন, "ভিল আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি ঐতিহ্য সম্পর্কে উল্লেখ করেছিল। ভিলের কথায়, বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে অর্থ দান করে। তাই সে কয়েক বছর ধরে মেয়েটির যত্ন নিতে চেয়েছিল এবং তারপর টাকার বিনিময়ে তার বিয়ে দেবে ভেবেছিল"।
একটি সংবাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর হিদাদ গ্রাম থেকে মেয়েটি নিখোঁজ হয়। যখন মেয়েটির বাবা-মা তাকে কোথাও খুঁজে পেলেন না, তখন পুলিশের কাছে এফআইআর করেছিল। কিন্তু প্রথমে বিষয়টি সম্পর্কে কোনও তথ্য পুলিশ খুঁজে পায়নি। তারপর তদন্ত চলাকালীন গ্রামে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ মেয়েটিকে শনাক্ত করে।
এরপরে মামলার তদন্তের ভার জাদেজার হাতে হস্তান্তর হয়। দলটি জানতে পেরেছিল যে মেয়েটিকে শেষবার দহিসারদা গ্রামে একটি উপজাতি কৃষক শ্রমিকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত মেয়েটিকে অপহরণ করার কথা স্বীকার করে। ভিলকে এখন পুলিশ হেফাজতে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।