কর্ণাটকের গুণ্ডলুপেট তালুকের হাঙ্গাল গ্রামে সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ছয় মাসের এক শিশুকন্যাকে কান ফুটো করার জন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরেই সর্বনাশ!
আরও পড়ুন- মৃত্যুর ঠিক আগেই ‘মলত্যাগ’ করে মানুষ, কেন জানেন…? চমকপ্রদ ‘সত্যিটা’ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
advertisement
ডাক্তার অজ্ঞান করার ইনজেকশন কেন দিলেন?
সাধারণত, শিশুরা যাতে ব্যথা অনুভব না করে, ডাক্তাররা অজ্ঞান করার ওষুধ (অ্যানেস্থেসিয়া) ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই ঘটনায় ডাক্তাররা শিশুটিকে অ্যানেস্থেসিয়া দেন, তবে সম্ভবত সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে পারেননি। ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা শিশুটির স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং সে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।
অজ্ঞান হওয়ার পর কী হল?
শিশুটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ার পর ডাক্তাররা তৎক্ষণাৎ তাকে গুণ্ডলুপেট সরকারি হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। ডাক্তারদের মতে, ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকেই শিশুটির শরীরে খিঁচুনি শুরু হয়, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল।
ডাক্তাররা অজ্ঞান করার ওষুধ (অ্যানেস্থেসিয়া) ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই ঘটনায় ডাক্তাররা শিশুটিকে অ্যানেস্থেসিয়া দেন, তবে সম্ভবত সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে পারেননি। ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা শিশুটির স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং সে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।
**ডাক্তারের বক্তব্য ও তদন্ত**
ঘটনার পর তালুক হাসপাতালের ডাক্তার আলিমপাশা জানান, শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু অ্যানেস্থেসিয়ার অতিরিক্ত ডোজের কারণে তার দেহ তা সহ্য করতে পারেনি। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় এমএলসি (মেডিকেল লিগ্যাল কেস) দায়ের করা হবে এবং তদন্ত চলবে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার ফলে শিশুটির পরিবার ভেঙে পড়েছে। মাত্র ছয় মাসের কন্যাশিশুর মৃত্যু তার বাবা-মায়ের জীবনে এক দুঃস্বপ্নের মতো নেমে এসেছে। চিকিৎসকদের অবহেলা ও হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনাকে ঘিরে।