রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। পেট্রোপণ্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্র ভাঙা রেকর্ডের মতো শুনিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ায় এই পরিস্থিতি। যা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। অথচ কয়েক বছর আগেই তেলের দাম অনেকটাই কম ছিল।
আরও পড়ুন
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’, সোশ্যাল মিডিয়াকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের
advertisement
২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বিশ্ব বাজারে ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেলের দাম হু হু করে নামতে থাকে। এক ব্যারেল পেট্রোল ৪৬ ডলারে নেমে যায়। যেখানে ২০০৮ সালে পেট্রোলের ব্যারেল ছিল ১৩২ ডলার। ২০১৪-১৮ পর্বে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও তার সুবিধা পায়নি দেশবাসী। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি উল্টে পেট্রোপণ্যের উপর চড়া হারে উৎপাদন শুল্ক বসান। ২০১৭ সালে পেট্রোলে লিটার পিছু ২১ টাকা ৫০ পয়সা শুল্ক বসে। আর ডিজেলে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা শুল্ক চাপে।
পেট্রোলিয়াম পণ্য থেকে বিপুল পরিমাণ কর আদায়ের ফলে ওই অর্থবর্ষে সরকারের আয় অনেকটাই বাড়ে। এই অর্থের একটা অংশ রাজ্যগুলি পায়। বাকিটা সপ্তম পে কমিশনে কর্মীদের বর্ধিত বেতনে চলে যায়। মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসে।
পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ায় পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দামও চুপিসারে বাড়তে থাকে। তেলের নতুন করে দাম বাড়ায় ফের মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, গত চার বছরে পেট্রোপণ্যে চড়া হারে শুল্ক বসালেও আয়-ব্যয়ে ভারসাম্য রাখতে পারেনি মোদি সরকার।
বিরোধীদের প্রশ্ন, যদি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরেই থাকে তাহলে কী করে কর্ণাটক ভোটের সময় পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়েনি। আর ভোট মিটতেই তেলের দামে আগুন জ্বলল। অথচ সাধারণ মানুষকে সুরাহা দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা থাকে না।