জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ও রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর সফরের প্রতিবাদে একজোট হয়েছিলেন কৃষকরা। আর সেখানেই ওঠে মারাত্মক অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি ২ কৃষককে পিষে দিয়ে চলে যায়। জানা যায়, সেই গাড়িটিতে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
advertisement
সংঘর্ষে ৪ কৃষক সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। যদিও, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের দাবি, তাঁর ছেলে কনভয়ে ছিল না। থাকলে তাকেও পিটিয়ে মেরে ফেলত কৃষকরা। যদিও ঘটনার পরপরই আসরে নেমেছে বিরোধীরা। উপনির্বাচনে বিপুল জয় পাওয়ার দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে লেখেন, 'লখিমপুর খেরির বর্ররোচিত ঘটনার আমি তীব্র বিরোধিতা করছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপি-র উদাসীন মনোভাব আমাকে গভীর যন্ত্রণা দিয়েছে। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের দল আক্রান্ত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। আমাদের কৃষকদের আমরা নিঃশর্ত সমর্থন করছি।' জানা গিয়েছে, এদিন লখিমপুর খেরি যাচ্ছেন তৃণমূলের কাকলী ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবীর রঞ্জন এবং সুস্মিতা দেব।
লখিমপুরের ঘটনার পর আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে বিক্ষোভরত কৃষকরা। ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে কৃষকদের সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সোমবার দুপুরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকের অফিসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে প্রতিবাদী কৃষকরা উত্তরপ্রদেশে আসতে শুরু করেছেন। ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে ওই কৃষক সংগঠনের তরফে। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলেও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গোলমাল এড়াতে লখিমপুর খেরি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হতে পারে। ফলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পর্যন্ত যেতে পারবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার। প্রসঙ্গত, এদিনই লখিমপুর যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সোমবার ভোর হওয়ার আগেই তিনি রওনা দেন লখিমপুরের উদ্দেশে। কিন্তু তাঁকে বহু জায়গায় বাধা দেওয়া হয় বলে খবর।
আরও পড়ুন: বঙ্গে বিলীন বাম, তিন কেন্দ্রের যা ফল হল! অগত্যা বিমান বসু বলেই ফেললেন...
রবিবার মধ্যরাতে এ বিষয়ে একটি টুইটও করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি লেখেন, 'এটা কৃষকের দেশ, BJP-র দেশ না। আমি লখিমপুর গিয়ে কোনও অপরাধ করছি না। আমি শুধু আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাই। তা সত্ত্বেও আমাকে থামানো হচ্ছে কেন?' জানা গিয়েছে, পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে ও তাঁকে জেলা পুলিশের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
