পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৫ টি মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ পাঁচজন হলেন মনমোহন সিং (৫৫), তাঁর স্ত্রী সরবজিৎ কৌর, তাদের দুই মেয়ে জ্যোতি (৩২) এবং গোপী (৩১) এবং জ্যোতির তিন বছরের শিশুকন্যা (৩)৷ কিন্তু কেন নিজেকে শেষ করে দিল গোটা পরিবার?
আরও পড়ুন: নতুন বছরে সুখবর দিল ISRO! সামনে এল নতুন মহাকাশযান, এবার কোথায় পাড়ি দেবে?
advertisement
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন মনমোহন সিংয়ের জামাই সরবজিৎ সিং জানান, যে তিনি কিছুক্ষণ ধরে ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। সরবজিৎ সিং যখন তাদের বাড়িতে যান, তখন তিনি দেখতে পান মনমোহন সিং এবং তাঁর স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়, জ্যোতি, গোপী এবং আমনের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে।
রাত ৮.২০ নাগাদ ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই থানার হেড মনজিৎ সিং এবং আদমপুরের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) বিজয় কুনওয়ার সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তদন্তে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। মনমোহন সিংয়ের লেখা সুইসাইড নোটে তিনি বলেছেন, বিতর্ক ও ঋণে বিরক্ত হয়ে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নিহতদের সবার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের সকলে ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে। পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, শিশুটের গালেও আঘাতের চিহ্ণ দেখে ধারণা করা হচ্ছেশিশুটিকে জোর করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে৷ পুলিশ মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য জলন্ধর সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।