১৯৯১ সালের ২৫ জুলাই। তীর্থ সেরে ফিরছিলেন শিখ পুণ্যার্থীরা। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে তাঁদের বাস থেকে নামায় পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন থানায়। তার পর জঙ্গি সন্দেহে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়। ভুয়ো সংঘর্ষের মামলা দায়ের হয় পুলিশের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান আইনজীবী আর এস সোধি। সিবিআইকে তদন্তভার দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তারা ১৯৯৫-এর ১২ জুলাই চার্জশিট পেশ করে। ৫৭ জনের নাম ছিল চার্জশিটে। মামলা চলাকালীন মৃত্যু হয় অভিযুক্ত দশ পুলিশকর্মীর। ২০১৬-র ২৯ মার্চ শুনানি শেষ করে আদালত। বাকি ৪৭ জন পুলিশকর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় । বিশেষ সিবিআই আদালত সবাইকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছে। কিন্তু, নিহতদের পরিবার ফাঁসির সাজা চায়।
advertisement
আদালতের নির্দেশ, নিহতদের পরিবারপিছু ১৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জরিমানা দিতে হবে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদেরও। ইনস্পেকটররা ১১ লক্ষ, সাব ইনস্পেক্টররা ৭ লক্ষ ও কনস্টেবলরা আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা দেবে।পুলিশকর্মীদের পরিবারের দাবি, পুলিশের বড় কর্তাদের আড়াল করা হয়েছে সিবিআই তদন্তে। আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসঙ্গে এতজন পুলিশকর্মী একই মামলায় কারাবাসের সাজা নজিরবিহীন।