২৫ বছরের আকিব আহমেদ মলিক প্রায় মাস তিনেক আগে আতঙ্কবাদী দলে নিজের নাম লেখান৷ শোপিয়ানে সদ্য সদ্য হওয়া সুরক্ষা আধিকারকিদের একটি তল্লাশিতে তাঁদের আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দেওয়া হয়৷ মালিক যে ঘরে ছিলেন সে ঘরে তাঁর সঙ্গে আরও সহযোগিরা ছিলেন৷ সেখানেই জওয়ানরা তাঁর স্ত্রা ও ছেলেকে নিয়ে পৌঁছয়৷ তাঁরা বারবার সেই ব্যক্তিকে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে সারেন্ডার করার আবেদন করতে থাকে৷ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শিশুটি লাগাতার তার বাবাকে আবেদন করছে বাইরে বেরিয়ে আসতে আর তার সঙ্গে সে এটাও বলছে যে যাঁরা বাইরে আছেন তাঁরা বাবার কোনও ক্ষতি করবে না৷ সে বলছিল, 'बाहर आ जाओ, वे आपको नुकसान नहीं पहुंचाएंगे. बाहर आ जाओ, मैं आपको याद कर रहा हूं.'- অর্থাৎ ‘‘বাইরে চলে এস, এরা তোমার কোনও ক্ষতি করবে না৷ বাইরে এসো, আমার তোমার কথা মনে পড়ছে৷ ’’
advertisement
সেনা সূত্রে খবর মালিক বাইরে এসে আত্মসমর্পণ করতে চাইছিল কিন্তু তার সহযোগী আতঙ্কবাদীরা তাঁকে বেরিয়ে আসতে দেয়নি৷ সেনা আধিকারিকরা মেজর জেনারেল রশিম বালী বলে, ‘প্রথমে ওঁর স্ত্রী তাঁকে আত্মসমর্পণ করার আবেদন করেন, এরপরে তার ছেলেও তাঁকে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলে৷ তারা নিজের বাবাকে বেরিয়ে আসতে বলে৷ আকিবও বাইরে আসতে চাইছিলেন৷ তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে আসতে দিতে চায়নি৷ ও যদি বেরিয়ে আসত তাহলে ওকে আমরা বাঁচাতে পারতাম৷ ’
স্থানীয় মানুষদের মতে ২০ ডিসেম্বর থেকে সে গায়েব হয়ে গিয়েছিল৷ আতঙ্কবাদীদের দলে সামিল হওয়ার আগে তিনি একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন৷ সেনা জানিয়েছে এনকাউন্টার স্থল থেকে একটি রাইফেল ও তিনটি পিস্তল পাওয়া গেছে৷ এই এনকাউন্টারে দুটি ঘর শেষ হয়ে গেল৷ গত সপ্তাহে এনকাউন্টারে ৭ টি ঘর শেষ হয়ে গেল৷ ২ জন আতঙ্কবাদী মারা যায়৷