ফণীর জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ ৷ গোটা রাজ্যটাই একেবারে তছনছ হয়ে গিয়েছে ৷ তবে, দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্য সরকার ৷ উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন রাজ্যের আনাচে-কানাচে ৷ জোরকদমে চলছে পুনরুদ্ধারের কাজ ৷
ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পুরীও ৷ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পুরীর ছবি দেখলে বারবার শিউরে উঠতে হয় ৷ হোটেলগুলি যেন হানাবাড়িতে পরিণত হয়েছে ৷ ভেঙে পড়েছে সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি ৷ ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বয়ে যাওয়া ঝড়ের জেরে গোটা শহরটা যেন এক ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ৷ এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রায় ১.৫ কোটি মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷
advertisement
খড়দা জেলা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ এই এলাকা থেকেই ২০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে ৷ মনে করা হচ্ছে, গোটা ওডিশা জুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে প্রায় ৪০ ৷
স্পেশাল রিলিফ কমিশনারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ১১টি জেলার ১৪৫ টি ব্লক একেবারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গিয়েছে ৷ পাশাপাশি, ১৫,৮৪৬ টি গ্রাম এবং ৭৭৩টি ওয়ার্ড ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে ৷ এছাড়াও প্রায় ১৭,২৮০ টি গৃহপালিত পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩.৩২ লক্ষ বাড়ি সাইক্লোনে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১৩.৮৮ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিশ্বের দরবারে রীতিমত নজির গড়েছে ওডিশা ৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূয়শী প্রশংসা কুড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও ৷
ফণীর জেরে যারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৷ তাদের জন্য একটি ত্রাণ তহবিলও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ প্রতি পরিবার পিছু ৫০ কেজি দরে চাল এবং ২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছেন ৷
Written by- Anand ST Das