গোটা দেশের একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়ে সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ডাঃ মুজাম্মিলের সঙ্গে যুক্ত একটি ভাড়া করা বাসস্থানে প্রথম অভিযানে প্রায় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থ পাওয়া যায়। একজন ইমামের টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর, তদন্তকারীরা একই এলাকায় তার বাসস্থানে আরও ২,৫৮৩ কেজি বিস্ফোরক খুঁজে পান।
এই অভিযানে একাধিক রাজ্যে অভিযান চালিয়ে সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যা “হোয়াইট-কলার সন্ত্রাস ইকোসিস্টেম” হিসাবে বর্ণনা করেছে তা উন্মোচিত হয়েছে। পরে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয় ২,৯০০ কেজি আইইডি তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে৷ উদ্ধারকৃত সামগ্রী সরানোর জন্য একটি পিকআপ ভ্যান ডাকা হয়।
advertisement
বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ এবং অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে ফরিদাবাদে একে দুটি AK-47 রাইফেল এবং ৩৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় চিকিৎসক আদিল আহমেদ র্যাদারকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, একটি পোস্টার থেকেই ওই চিকিত্সক গ্রেফতার পর। পরে তদন্তে উঠে আসে আরও দুই চিকিৎসকের নাম৷
সূত্রের খবর, ঘটনা পুলিশের নজরে আসে একটি পোস্টার থেকে৷ শ্রীনগরের নোগাউম এলাকায় এক ব্যক্তিকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় দেওয়ালে পোস্টার সাঁটছেন৷ পোস্টারে দোকানদারদের সতর্ক করা হচ্ছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে লেনদেন করা নিয়ে৷ সিসিটিভি ফুটেজে থেকে পোস্টার লাগানো ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায় তিনি সাহারানপুরে৷ পরে জানা যায় তিনিই ড: আদিল, কাশ্মীরী চিকিৎসক৷ ড: আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও দুই চিকিৎসকের নাম৷
তদন্তে দেখা গিয়েছে যে নেটওয়ার্কের উগ্রবাদী প্রচেষ্টা ২০২১-২২ সালে শুরু হয়েছিল৷ প্রথমে হাশিম নামে একজন ব্যক্তির নির্দেশনায় এবং পরে উপত্যকায় ডঃ ওমরের নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয়। সাহারানপুরে অবস্থানরত ডঃ আদিলকে গ্রেফতরা করে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ৷ তিনি পুলিশকে সহকর্মী ডাক্তারদের কাছে নিয়ে যান, যার মধ্যে ডঃ মুজামিলও ছিলেন৷ যার দরুন ফারিদাবাদ হয়ে ওঠে প্রধান বিস্ফোরক উদ্ধারস্থল৷
ডঃ মুজামিলের ফারিদাবাদের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ IED তৈরির উপকরণ উদ্ধার করে যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং অন্যান্য রাসায়নিক প্রিকিউরসার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্যাংয়ের উদ্দেশ্য ছিল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) তৈরি করা এবং সারা দেশে সন্ত্রাসী হামলা চালানো। তারা ভবিষ্যতে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো সংগঠনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাদের নিজস্ব মিলিট্যান্ট “তানজিম” (সংগঠন) প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। একটি গাড়ির মধ্য থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক৷
গাড়ি থেকে, পুলিশ উদ্ধার করে:
একটি AK-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল তিনটি ম্যাগাজিন
একটি পিস্তল লাইভ রাউন্ড
দুটি খালি কার্টিজ
দুটি অতিরিক্ত ম্যাগাজিন
পাশাপাশি চারটি বড় স্যুটকেসে প্যাক করা বিস্ফোরক সম্পর্কিত প্রচুর উপাদান এবং ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক পাওয়া যায়।
