পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম আমন। প্রাইভেট টিউশনে উভয়ের পরিচয়। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। আমন ওই দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে তার সঙ্গে পালাতে বলে এবং ধর্মান্তকরণের পর তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ছাত্রী এই প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁকে ভয় দেখায় আমন। সে জানায়, ছাত্রী যদি তার সঙ্গে পালিয়ে না যায়, তাহলে ছাত্রীর ছোট ভাইকে সে প্রাণে মারবে। ভয় পেয়ে গিয়ে ওই যুবতী, মঙ্গলবার দিন ভোরবেলা আমনের সঙ্গে পালিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা সারাদিন মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার পর স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়রি দায়ের করেন এবং আমনকে সন্দেহের তালিকায় রাখে।
advertisement
মিরাট পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমরা আইপিসি ধারা ৩৬২ (অপহরণ)-এর অধীনে এফআইআর দায়ের করেছি এবং ওই যুবতীকে খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত শুরু করি। আমরা তাকে মিরাট নিয়ে আসি এবং পরে আমনকে গ্রেফতার করেছি। উত্তরপ্রদেশের নয়া ধর্মান্তকরণ আইনের আওতায় এই মামলাকে ফেলেছি। যুবতীর বয়ান রেকর্ড করে জানা গিয়েছে, আমন তাঁকে দিল্লির একটি মসজিদে জোর করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছিল"।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিন এই ঘটনার জন্য হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও বজরঙ্গ দলের সমর্থকরা পুলিশকে প্রাথমিকভাবে যুবতীর সন্ধানের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের রাজ্য ইউনিটের প্রধান শচীন সিরোহি বলেছিলেন, "আমরা খুশি যে আমরা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বাঁচাতে পেরেছি। আমাদের রাজ্যে ধর্মান্তকরণের জন্য বেশ কয়েকটি মহিলা গভীর জোটের শিকার হয়েছেন।"