আকাশ একটি দোকান ভাড়া করে কচুরি বিক্রি করতেন। দোকানের নাম মা চামুন্ডা সুইট অ্যান্ড নমকিন। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু আকাশ যখন ৫০০ টাকা থেকে মাত্র ৪ মাসে ৫ কোটি টাকা আয় করে তখনই সব হিসেব ওলটপালট হয়ে যায়। আড়াই লক্ষ টাকা দামের ইয়ামাহা R15 বাইক কিনে ফেলেন, বুক করেছিলেন মাহিন্দ্রার থর গাড়ি, কেনেন প্রায় ৩.৫ লক্ষ টাকার সোনা। কিন্তু তাঁর কয়েকদিনের মধ্যেই এই আমূল বদল আশেপাশের কেউ হজম করতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই আকাশের উপর সন্দেহ বাড়তে শুরু করে।
advertisement
সকলের মনে প্রশ্ন ছিল কচুরি বিক্রেতা হঠাৎ করে এত ধনী হয়ে গেলেন কীভাবে? কীসের টাকায় শুরু তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন? এরপর বিষয়টি পুলিশের কানে পৌঁছয়। খবর পেয়ে পুলিশ একটি এসওজি টিম গঠন করে। দলটি ১ দিনের মধ্যে যুবকের উপার্জনের রহস্য খুঁজে বের করে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় পৌঁছে। জানা গিয়েছে, আকাশের এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট ছিল। ব্যাঙ্কের তথ্য শুনে পুলিশও হতবাক হয়ে যায়। পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সামনে আসে আসল তথ্য। তবে জিজ্ঞাসাবাদে যুবকটি কী বলেছে, তা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ পুজোর ছুটিতে জলদাপাড়ায় জঙ্গল সাফারিতে যাচ্ছেন? নতুন ‘এই’ নিয়ম না জানলে বিরাট বিপদে পড়বেন
জানা গিয়েছে, আকাশ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মাধ্যমে এই ৫ কোটি টাকা উপার্জন করেছে। ২০২৫ সালের মে মাসে, আকাশ এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খোলে এবং তাতে মাত্র ৫০০ টাকা জমা করেছিল। তারপর কয়েকদিন পর ওভারড্রাফ্টের মাধ্যমে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০০০ টাকা তুলে নেয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা করে। এভাবে ওভারড্রাফ্টের মাধ্যমে ৫০ লক্ষ টাকা তুলে নেয়। কিন্তু এবার সে টাকা জমা দেয়নি। এভাবে ৯টি লেনদেন করে আকাশ ব্যাঙ্ক থেকে মোট ৫ কোটি টাকা ওভারড্রাফ্ট করে। ব্যাঙ্ক থেকে ওভারড্রাফ্টের টাকা নিয়ে গ্রোয়ের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ৩.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। পুলিশ তথ্য পেয়ে তদন্ত করে আকাশকে গ্রেফতার করে। এই পুরো মামলায় ব্যাঙ্কের তিন কর্মচারীর ভূমিকা সন্দেহজনক বলে মনে করছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।