তাঁর বাবার নাম রমেশ (Ramesh) ও মায়ের নাম লতা (Latha)। দুজনেই দিন মজুরের কাজ করেন। আর্থিক অসুবিধা গিরীশের পরিবেশবান্ধব কাজের জন্য কখনই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। গিরীশ বলেন, “আমাদের পৃথিবী ও পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য সকলের সমান দায়িত্ব রয়েছে। এইক্ষেত্রে একে অপরকে দোষারোপ করে কোনও লাভ হবে না। সকলকে উদ্যোগ নিতে হবে এই কাজের জন্য। আমি আমার কাজ এভাবেই করে যাব। আমি খুব খুশি যে আমার সঙ্গে অন্যরাও হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করছেন। আমার বন্ধুরা, আমার শিক্ষকরা এবং আমার পরিবার আমাকে এই কাজের জন্য সবসময় সহযোগিতা করে চলেছে”।
advertisement
আরও পড়ুন- Green Heroes: সরকারি স্কুলের মাঠ এখন সুন্দর বাগান! ছোট ছোট হাত-পায়ে খুদেদের কামাল
গিরীশের মতো একজন পরিবেশপ্রেমীকে ছেলে হিসাবে পেয়ে তাঁর মা বাবা খুব খুশি। তাঁরা সর্বক্ষণ গর্ব বোধ করেন তাঁদের ছেলের এই মহান উদ্যোগের জন্য। বৃক্ষ জাতীয় গাছ থেকে শুরু করে নিম গাছ (Neem), এবং ক্যালাম্যান্ডার (Calamander) থেকে চম্পা (Champa), গিরীশ বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করে চলেছেন বেঙ্গালুরুর হাসানে। গিরীশ তাঁর স্কুল জীবনে স্কাউট ও গাইড হিসাবেও কাজ করেছেন। আর এখন তিনি ভীষণ রকমে অ্যাক্টিভ ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম (National Service Scheme) নিয়ে। ২০ বছর বয়েসেই তিনি তাঁর এই নিঃস্বার্থ কাজের জন্য অনেক ধরনের পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০১৮ সালে, মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয় (University of Mysore) থেকে আউটস্ট্যান্ডিং ভলান্টিয়র অফ দ্য ইয়ার (Outstanding Volunteer of the Year award) পুরস্কার পান গিরীশ। কর্নাটকের প্রাক্তন রাজ্যপাল বাজুভাই ওয়ালা (Vajubhai Wala) ২০২০ সালে তাঁকে একটি বিশেষ সম্মান প্রদান করেন। News18 কে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় গিরীশ বলেন, বৃক্ষরোপণ করে তিনি শুধু সমাজের জন্য কোনও ফেভার করছেন না। সম্প্রতি গিরীশ ৪৫০ কিলোমিটারের একটি সাইকেল ব়্যালির পরিচালনা করেন। সেই ব়্যালির মাধ্যমে মানুষকে পরিবেশ রক্ষা, বৃষ্টির জল কাজে লাগানো এবং পুকুরগুলিকে সংরক্ষণ করার বিশেষ বার্তা প্রেরণ করতে দেখা গিয়েছে।