“সোপিয়ানের ছোটিপোরা এলাকায় একটি আপেল বাগানে সন্ত্রাসবাদীরা সাধারণ নাগরিকদের উপর গুলি চালিয়েছে। একজন মারা গেছেন এবং একজন আহত হয়েছেন। দু’জনেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। আরও বিশদে জানানো হবে,” ট্যুইট করেছে কাশ্মীর পুলিশ।
আরও পড়ুন- গর্বের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়! পিএইচডি ডিগ্রি করানোয় সারা ভারতে ২য় স্থানে CU
advertisement
এদিনের সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহতের নাম সুনীল কুমার। ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর ভাই পিন্টু কুমার। গত বছরের অক্টোবর থেকে কাশ্মীর একের পর এক ‘টার্গেট কিলিং’য়ের সাক্ষী হয়ে আসছে। নিহতদের অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক বা কাশ্মীরি পণ্ডিত। গত অক্টোবরে, পাঁচ দিনে সাতজন মানুষ নিহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত, একজন শিখ এবং দুইজন পরিযায়ী হিন্দু। এর পরেই, অনেক কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার উপত্যকায় নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যান।
মে মাসে, সন্ত্রাসবাদীরা বদগাঁওয়ে তহসিলদারের অফিসে ঢুকে ৩৬ বছর বয়সী রাহুল ভাটকে গুলি করে হত্যা করে। কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট একটি প্যাকেজের অধীনে সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন। ১৯৯০ এর দশকে সন্ত্রাসী হামলা থেকে বাঁচতে বহু কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন- বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জনের মুক্তি
এই হত্যাকাণ্ড সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিক্ষোভকে ফের উস্কে দিয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছে। সরকার কি তাঁদের হত্যা করার জন্যই উপত্যকায় ফিরিয়ে এনেছে, প্রশ্ন তুলেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা।