পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের দুমকায় এক ব্যক্তি তরুণীর বাড়ির জানলা দিয়ে তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সময়ে তরুণী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল।
আরও পড়ুন: ছিঃ! খাবার পরিবেশনে দেরি হওয়ায় মেয়ের সঙ্গে যা করল বাবা... শিউরে উঠছে দেশ
দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে তার পর ফুলো ঝানো মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তার পর রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার ফলে মেয়েটিকে আর বাঁচানো যায়নি। রবিবার মধ্য রাতে আড়াইটে নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
advertisement
ঘটনার ১০ দিন আগে তরুণীকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য জোরাজুরি করেছিল অভিযুক্ত। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে বয়ান দেওয়া হয়েছে, তাতে লেখা, 'সোমবার রাত ৮টায় ও আমাকে আবার ফোন করে। আমাকে হুমকি দেয় যে ওর সঙ্গে কথা না বললে আমাকে খুন করবে। আমি সবটা বাবাকে জানাই। ববা বলেন, মঙ্গলবার ওর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে। রাতের খাওয়া দাওয়া করে শুতে যাই। আমি একা অন্য ঘরে শুয়েছিলাম। মঙ্গলবার ভোরে আমার গায়ে জ্বালা অনুভব করতেই এবং পোড়়া গন্ধ পাই। চোখ মেলে দেখি ও পালিয়ে যাচ্ছে। আমি যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে বাবার ঘরে যাই। তার পল আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।'
আরও পড়ুন: মেয়ের পা ধুয়ে দুধ খাচ্ছেন বাবা-মা! কারণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও! নিমেষে ভাইরাল ভিডিও
হাসপাতালে শুয়ে প্রবল যন্ত্রণা নিয়েই পুলিশকে বয়ান দেন তরুণী।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের দুমকার দুধানি চৌকে। মৃতার জন্য সুবিচার চেয়ে প্রতিবাদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।