খবর বলছে, ভারতে মাত্র ৫ থেকে ৬টা ব্ল্যাক প্যান্থার (Black Panther) রয়েছে। যার মধ্যে একটি রয়েছে মাইসুরুর (Mysore) কাবিনি ওয়াইল্ডলাইফ ফরেস্টে (Kabini Wildlife Sanctuary)। সেই বিষয়টি জানতে পারেন ১৮ বছর বয়সী ধ্রুব পাতিল। ব্যস, তার পর থেকে কয়েকবার সেই জঙ্গলে ব্ল্যাক প্যান্থারের খোঁজে গিয়েছেন তিনি। দাঁড়িয়ে থেকেছেন শুধু একটা ফটো তোলার জন্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন এই তরুণ।
advertisement
একটা ব্ল্যাক প্যান্থার। তার পিছনে ৯০০০ মিনিট। শুধু মাত্র একটা ক্লিকের জন্য। প্রায় ২৫ বার কাবিনির জঙ্গলে যান ধ্রুব এই উদ্দেশ্য নিয়েই। তিনি জানতে পারেন যে কোন জায়গায় ব্ল্যাক প্যান্থারটি থাকতে পারে। সেই বুঝে কাইমারা রাস্তার উপরেই অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। কারণ ওই রাস্তা মাঝে মাঝেই পার হয়ে যায় ওই প্যান্থারটি।
একাধিকবার কাইমারার রাস্তায় অপেক্ষা করার পরও লাভ হয়নি। বেশ কয়েকবার হতাশ হয়েই ফিরতে হয় তাঁকে। কিন্তু তার পরও আশা ছাড়েননি তিনি। চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে ক'দিন আগে সেই রাস্তা পার করে ওই ব্ল্যাক প্যান্থার। আর ধ্রুব অবশেষে ফ্রেমে ধরতে পারেন তাঁর সাবজেক্ট, অর্থাৎ ব্ল্যাক প্যান্থারটিকে। ফ্রেমবন্দী করার ছবি সকলের সঙ্গে শেয়ার করেন ধ্রুব। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করে তিনি। বর্ণনা দেন কী ভাবে ব্ল্যাক প্যান্থারটিকে ক্যামেরাবন্দী করেন তিনি। কতক্ষণ তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে, কতটা চেষ্টা করতে হয়েছে, বলতে ভোলেননি এই ফটোগ্রাফার।
তাঁর এই ছবি দেখে, কাজ দেখে আপ্লুত বহু মানুষ। তাঁর অদম্য জেদ, ইচ্ছাশক্তি ও অধ্যবসায়ের জন্যই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিই (Wildlife Photography) নয়, পরে জানা যায়, আসলে পশু-পাখির প্রতিই একটা ভালোবাসা রয়েছে তাঁর। মাইসুরু চিড়িয়াখানার একাধিক পশুকে অ্যাডপ্ট করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর বাড়িতেও প্রচুর পাখি রয়েছে।
ধ্রুব কংগ্রেস নেতা ও কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী MB পাতিলের ছেলে বলে জানা গিয়েছে।