হরিয়ানার মেওয়াতের বাসিন্দা মাহিরা ৬ নভেম্বর বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে AIIMS ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা হাজার চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি।
আরও পড়ুন- 'টিকিট না দিলে নামব না!' হাইটেনশন টাওয়ারে উঠে হুমকি আপ নেতার
মাহিরা নামের ওই মেয়ের মস্তিষ্কে গভীর ক্ষতি হয়েছিল। AIIMS-এর নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ দীপক গুপ্তা জানিয়েছেন, ১১ নভেম্বর সকালে মাহিরাকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি বলছিলেন, তার লিভার ইনস্টিটিউট অফ কিডনি অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেস (আইএলবিএস) এ ছয় মাস বয়সী একটি ছেলের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তার দুটি কিডনিই সফলভাবে AIIMS-এ ১৭ বছর বয়সী একটি ছেলের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
advertisement
ডাঃ দীপক গুপ্তা আরও জানান, মাহিরার কর্নিয়া এবং হার্টের ভাল্ব পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর আগে ১৬ মাস বয়সী রিশান্তের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছিল এইমস। মাহিরা গত ছমাসে এইমস ট্রমা সেন্টারে অঙ্গ দান করা তৃতীয় শিশু।
ডাঃ গুপ্তা বলছিলেন, রোলি প্রথম, তার পরে ১৬ মাস বয়সী রিশান্ত, যার অঙ্গ আগস্টে ওর পরিবার দান করেছিল। কাউন্সেলিং চলাকালীন মাহিরার বাবা-মাকে রোলির গল্প বলা হয়। অন্যের জীবন বাঁচাতে অঙ্গদানের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা। এর পর তাঁরা মাহিরার অঙ্গ দান করতে রাজি হন।
এর আগে ১৬ মাসের রোলির শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি - হার্ট, লিভার, কিডনি এবং কর্নিয়া দান করেছিলেন তার পরিবারের লোকজন। রোলিকেও ব্রেন ডেথ বলে ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- ক্ষমতায় এলেই গুজরাতে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের নাম বদল, ঘোষণা কংগ্রেসের
অধ্যাপক দীপ গুপ্তা বলেছেন, উচ্চতা থেকে পড়ে ভারতে বহু শিশুর মৃত্য়ু হয়। প্রতিটি বাড়িতে শিশুদের জন্য বারান্দার গার্ডওয়াল-এর উচ্চতা দ্বিগুণ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, শিশুরা প্রায়ই বারান্দার রেলিংয়ে উঠে পড়ে। ঘটে যায় ভয়ঙ্কর বিপদ।
ডাঃ গুপ্তা আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকায় অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতনতা যথেষ্ট নয়। এই ব্যাপারে সচেতনতার অভাব রয়েছে এখনও।