২০১৫ সালের শেষ থেকে ২০১৬-এর ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ৪০ জনেরও বেশি মহিলা লাঞ্ছিত, ধর্ষিত হয়েছেন ছত্তিশগড় পুলিশের হাতে ৷ এদের মধ্যে দুই নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷
এমনই ধিক্কারজনক পরিসংখ্যান ও অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে আনে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ পত্র ৷ ওই সংবাদপত্রের একটি নিউজ রিপোর্টে ছত্তিশগড়ে নারী সুরক্ষা ও পুলিশের কীর্তির কথা তুলে ধরা হয় ৷ রিপোর্টে দাবি করা হয়, ছত্তিশগড়ের একটি গ্রামে চল্লাশি চালাতে গিয়ে বহু মহিলার শ্লীলতাহানি করে পুলিশ ৷ ঘটনার পরই ১৬ জন নির্যাতিতা অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ৷ অভিযোগে জানানো হয়েছে, কিভাবে তল্লাশির নামে গোটা গ্রাম লন্ডভন্ড করা হয় ৷ জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও মেয়েদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করতে ছাড়েনি পুলিশের আধিকারিকরা ৷
advertisement
এই রিপোর্ট সামনে আসতেই তদন্তে নামে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মীরা ৷ তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শুধু এই ১৬ জন নন, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন আরও ২৪ জন মহিলা ৷ জানা গিয়েছে, ১১-১৪ জানুয়ারির মধ্যে আরও দুটি গ্রামে এই একই কাণ্ড ঘটিয়েছে ছত্তিশগড় পুলিশ ৷ বাকি নির্যাতিতাদেরও বয়ান রেকর্ডের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
আইনরক্ষকদের এমন ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়েছে মানবাধিকার কমিশন ৷ নোটিশে জানতে চাওয়া হয়েছে, সরকার এরকম একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কেন? পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো কেনই বা নির্যাতিতাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেনি সরকার সে বিষয়েও কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছে NHRC ৷
অন্তর্বতী আর্থিক ত্রাণ খাতে ধর্ষিতাদের ৩ লক্ষ টাকা, শ্লীলতাহানি শিকার তরুণীদের ২ লক্ষ ও শারিরীক হেনস্থায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই নির্ধারণ করা হয়েছিল ৷ কিন্তু এই ঘটনায় সরকার কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্রুদ্ধ কমিশন ৷