গড়চিরোলির ডিআইজি সন্দীপ পাতিল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে বৈঠক করার জন্য কোটমির কাছে জঙ্গল এলাকায় জড়ো হয়েছিল মাওবাদীদের একটি দল ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় বাহিনী৷ ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শুরু হয় এনকাউন্টার৷ পাতিলের কথায়, "বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের সি-৬০ কম্যান্ডো জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালায়৷" মাওবাদীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালে পাল্টা গুলি চালান কম্যান্ডোরা৷ এনকাউন্টার চলে প্রায় ঘণ্টাখানেক৷ তীব্র গুলিবিনিময়ে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের৷ ঘটনাস্থলে ১৩ জন মাওবাদীরা মৃত্যু হয়। বাকিরা জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় বলে জানিয়েছেন গড়চিরোলির পুলিশ সুপার অঙ্কিত গয়াল ৷
advertisement
মৃত মাওবাদীদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ ওই এলাকায় আরও কোনও মাওবাদী লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চলছে চিরুনি তল্লাশি৷ ওই একই জেলায় মাস দুয়েক আগেই বাহিনীর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজন মাওবাদীর ৷ তাঁদের মাথার দাম ছিল ৪৩ লাখ টাকা ৷
প্রসঙ্গত, এর আগে, দেশের ৪ রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটের আলোড়নের মাঝে ছত্তিশগড়ে ২২ জওয়ানের রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধে শহিদ হওয়ার ঘটনা কার্যত গোটা দেশে চাঞ্চল্য তৈরি করে। ২২ জওয়ানের মৃত্যু ছাড়াও একজনের নিখোঁজ থাকার খবরও আসে। জানা যায় মর্মান্তিকভাবে এক জওয়ানের দেহাংশ কেটে দেয় মাওবাদীরা। এদিকে, ঘটনা ঘিরে বেশ কয়েকটি তথ্য উঠে আসতে শুরু করে ছত্তিশগড়ের বুকে। পরবর্তীকালে অপহৃত জওয়ানকে ছেড়ে দে মাওবাদীরা। জানা যায়, সেই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মাওবাদী নেতা হিদমা।
