TRENDING:

অসমে বন্ধ ইন্টারনেট, আত্মহত্যার হুমকি দিল ১২ হাজার অ্যাপ-ক্যাব চালক

Last Updated:

এই উত্তপ্ত অসমে ৭ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#গুয়াহাটি: CAA -এর প্রতিবাদে উত্তপ্ত গোটা অসম ৷ প্রতিবাদে রাস্তায় রাস্তায় মিছিল ৷ জ্বলেছে আগুন ৷ এই উত্তপ্ত অসমে ৭ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ৷ আর এই বন্ধ ইন্টারনেটে জেরেই বিপর্যস্ত ওলা-উবরের মতো অ্যাপ-ক্যাবগুলো ৷ ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার কারণে রীতমতো বেকার হয়ে পড়েছেন অ্যাপ-ক্যাবগুলোর চালকরা ৷ ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে তাই আত্মহত্যার হুমকি দিল অ্যাপ-ক্যাব চালকরা ৷ প্রায় ১২ হাজার অ্যাব-ক্যাপ চালকরা আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে সামিল হলেন ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদে৷
advertisement

অসমের অ্যাপ-ক্যাব চালকদের কথায়, ‘ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আমাদের কাজ চলে ৷ ইন্টারনেট ছাড়া অ্যাপ-ক্যাবের তো কাজই নেই ৷ কাজ বন্ধ থাকলে, আমরা গাড়ির ইনস্টলমেন্ট কীভাবে সম্পুর্ণ করব? কীভাবে লোন মেটাবো ৷ এর থেকে তো ভালো আত্মহত্যা করা ৷ ’

তবে মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে অসমের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ৷ গুয়াহাটি ও অসমের অন্যান্য জায়গা থেকে কার্ফু উঠেছে ৷ তবে এখনও অসমে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় রীতিমতো স্তব্ধ হয়েছে জনজীবন ৷ যে মানুষদের জীবিকা একেবারেই ইন্টারনেটের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাঁদের অবস্থা শোচনীয়৷ বিশেষ করে অ্যাপ-ক্যাব চালক এবং বেশ কিছু ব্যবসায়ী, যাদের পুরো রুজিটাই মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর দাঁড়িয়ে ৷

advertisement

অন্যদিকে, পর্যটকদের একটা বড় অংশ উত্তর-পূর্ব ভারত বেড়াতে আসেন দার্জিলিং, সিকিম হয়ে অসম, মেঘালয়, কাজিরাঙা ঘুরে ফিরে যান। অসমে অস্থিরতার জেরে এই মূহূর্তে প্রায় ১৬ হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন। আর এই পরিস্থিতির জেরে এখানকার ট্যুর অপারেটার্সদের কাছে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্যের পর্যটকেরা। এমন অস্থিরতা চলতে থাকলে প্রচুর বুকিং বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে। সামনেই বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের মরসুম। সান্দাকফু এবং উত্তর ও পূর্ব সিকিমে তুষারপাত হয়েছে। পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হওয়ার মুখে অসমের পরিস্থিতি যেন দুশ্চিন্তার কালো মেঘে ঢেকে দিয়েছে পর্যটন শিল্পকে। চিন্তিত ট্যুর অপারেটার্স থেকে এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত একাধিক মানুষ। বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেমন অনেকেরই রুটিরুজি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তেমনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পর্যটন শিল্পেও বড়সড় ধাক্কা নেমে আসবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

হিমালয়ান হসপিটালিটি এণ্ড ট্যুরিজম ডেভলোপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকদের ফোন আসছে প্রতিনিয়ত। সামনেই পর্যটনের ভরা মরসুম। বহু পর্যটকই উত্তর-পূর্ব ভারত মানে সিকিম এবং দার্জিলিংকেও এর আওতায় আনেন। আবার অনেক পর্যটক দার্জিলিং, অসম, মেঘালয় ঘোরার প্লান করেই বের হন। অসমের পরিস্থিতির জেরে পর্যটকেরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আটকে থাকা পর্যটকদের অবিলম্বে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তেমনি কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ মসৃণ করতে হবে। নইলে বুকিং বাতিলের সম্ভাবনা বাড়বে। অন্যদিকে CAA নিয়ে এ রাজ্যেও অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ট্রেন, বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে। সব মিলিয়ে বছরের শেষ প্রান্তে রাজ্যেও ছড়াচ্ছে উত্তেজনা। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে পর্যটন শিল্পে। সবমিলিয়ে উৎকণ্ঠায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
অসমে বন্ধ ইন্টারনেট, আত্মহত্যার হুমকি দিল ১২ হাজার অ্যাপ-ক্যাব চালক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল