পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর (Burhanpur) জেলার একটি গ্রামে এক শিশুকে খুন করে অপর এক নাবালক (MP Boy Kills Child)৷ একটি ১২ বছর বয়সী ছেলে (12-year-old boy) তার কৃষি জমি থেকে ছোলা গাছ উপড়ে ফেলতে দেখে সাত বছর বয়সি এক শিশুকে (Child)। রাগ সামলাতে না পেরে শিশুটিকে খুন করে সে৷ ঘটনাটি ২৬ জানুয়ারির৷ তবে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে কিছুদিন পরে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার হারের বদলা নিতে উত্তরাখণ্ডে লড়ছেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী কন্যারা
খাকনার (Khaknar) থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কীর্তন প্রসাদ ধুরভে (Kirtan Prasad Dhurve) বলেন, “অভিযুক্তের দাবি, সে তার খেতকে রক্ষা করেছে৷ সন্ধ্যাবেলায় প্রতিদিনকার মতোই খেতের তদারকি করতে আসে ওই নাবালক (12-year-old boy)৷ তখনই দেখে একটি শিশু তার ছোলা গাছ উপড়ে ফেলছে৷ রেগে গিয়ে মারধর করতে শুরু করে ৷ অজ্ঞান হয়ে গেছে ভেবে পরে তাকে মাঠে ফেলে রেখে আসে৷
আরও পড়ুন: সিধু বনাম মান, কমেডি শো থেকে পঞ্জাবের মসনদ দখল! পাল্লা ভারী কার?
পুলিশের দাবি, “ওই নাবালক (12-year-old boy) আহত শিশুর চেতনা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। অনেক চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে বাড়ি চলে যায়। পরের দিন নিযমমতো খামারে ফিরে এসে শিশুটিকে ওই একই জায়গায় পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারকে জানায। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে শ্বাসরোধে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে৷ তদন্ত চলছে৷ মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মধ্য়প্রদেশের এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল, প্রতিটি শিশুর বাসযোগ্য় হয়নি এই দেশ। নবজাতকের জন্য় সুন্দর, সুস্থ পৃথিবী গড়ে দিতে পারিনি আমরা। এক শিশু প্রাণ নিচ্ছে আরেক শিশুর- এই ঘটনা মানবসভ্য়তার লজ্জা। সভ্য়তার সঙ্কটের আরও এক নজির এল সামনে। কিশোর অপরাধের সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করা অত্যন্ত জটিল ও কঠিন। মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন, হয়তো নাবালটি নিজেও কোনও অপরাধের শিকার, অথবা সে শুধুই অপরাধপ্রবণ।
