সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বালিকার নিদারুণ পরিণতির ভিডিও। জানা গিয়েছে শেষ পর্যন্ত ওই অবস্থাতেই এক আশ্রমে পৌঁছয় বালিকা। তাকে দেখে যৌন নির্যাতনের শিকার বলে সন্দেহ হয় আশ্রমের পুরোহিতের। তিনি তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে বালিকাকে নিয়ে যান জেলা হাসপাতালে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে ওই বালিকা ধর্ষিতা হয়েছে।
অত্যাচারিতার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে দ্রুত ইনদওরে পাঠানো হয়। তার জন্য রক্তদান করেন পুলিশকর্মীরা। জানা গিয়েছে তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। পুলিশ আধিকারিকদের নিজের নাম ঠিকানা ঠিকমতো বলতে পারেনি সে।
advertisement
এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় অপরাধীর বিরুদ্ধেই পকসো ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। উজ্জয়িনীর পুলিশ প্রধান সচিন শর্মা জানিয়েছেন দ্রুত অপরাধীকে শনাক্ত করার জন্য বিশেষ তদন্ত দল বা সিট তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের আবেদন সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা যেন তথ্য দিয়ে তদন্তে সাহায্য করেন। নামঠিকানা ঠিকমতো বলতে না পারলেও উচ্চারণের ধরন থেকে পুলিশের ধারণা ওই বালিকা উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এলাকার বাসিন্দা। অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল মধ্যপ্রদেশে নারীদের নিরাপত্তার অভাবের দিকটি। ২০১৯ থেকে ২০২১-এর মধ্যে দেশে মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে সবথেকে বেশি নারী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২০২১ সালে সবথেকে বেশি ধর্ষণের অভিযোগও দায়ের হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো ডেটা অনুযায়ী এই সংখ্যা ৬ হাজার ৪৬২। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভুক্তভোগী নাবালিকা। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৮ জন মহিলা ধর্ষিতা হন।