এই ধোঁয়াশার ফলেই দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যে নেমেছে ৷ ফলে জাতীয় সড়কে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা ৷ উত্তরের বিভিন্ন রাজ্যে হাইওয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১০ জন মানুষ ৷
রোহটাক-গোহানার রাস্তায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ টি গাড়ির সংঘর্ষের খবর এসেছে ৷ মৃত্যু হয়েছে তিনজন ৷ ঘন কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে কার্নাল রোডে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে ধাক্কা মারলে মৃত্যু হয় এক মহিলার ৷ আহত ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ৷ বরেলিতে ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দৃশ্যমানতার অভাবে একসঙ্গে আটটি গাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় একজনের এবং আহত ৬ জন ৷
advertisement
শনিবারও ধোঁয়াশার কারণে হরিয়ানা ডাবওয়ালিতে একটি ভ্যান ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬ জনের আহত ১৩ জন ৷
গত দু’দিনে হরিয়ানা ও পঞ্জাব মিলিয়ে ধোঁয়াশার কারণে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন ৷
দূষিত বাতাসের জেরে বহু মানুষেরই চোখ জ্বালা করছে, দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্টও । দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লির বাইরের রাজ্য থেকে আসা গাড়িগুলির ধোঁয়া পরীক্ষাও চলছে। গাড়ি থেকে দূষণ রুখতে দিল্লিতে ফের চালু হতে চলেছে জোড়-বিজোড় নীতি।
পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী অনিল মাধব দাভে। তাঁর দাবি, ইসরোর উপগ্রহ ছবিতেও ধরা পড়েছে দিল্লির দূষণ। তবে, এই দূষণের জন্য দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্যগুলি মাত্র ২০ শতাংশ দায়ী বলেও দাবি কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীর। যদিও সোমবারও পঞ্জাব ও হরিয়ানায় চলে জমিতে ফসল পোড়ানোর কাজ। দূষণ মুক্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবেশবিদরা।
দূষণের ধোঁয়াশা হটাতে কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটানো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল ৷ ২০০৮ সালে বেজিংয়ে দূষণ কমাতে কৃত্রিম মেঘের সাহায্যে বৃষ্টি নামিয়েছিল চিন ৷