আসলে বৌদ্ধদেবের পাঁচ রকমের মূর্তি আছে। এই মুর্তি অক্ষর্ব মূর্তি হিসেবে পরিচিত। কামদেব ব্রহ্মচারীর সাথে আরও একটি মূর্তি ছিল যা কাল রুদ্র ভৈরব। কাল রুদ্র ভৈরব মুর্তি চুরি যায় ১৯৫০ সালের আগেই। তবে কেও বলে চুরি যায়। কেও বলে গঙ্গা স্মান করাতে গিয়ে পড়ে যায়। জলে পড়ে যাওয়ার পরে কাটোয়ার কাছে নৈহাটি গ্রামে থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানে গ্রামের সাধারণ মানুষ তা প্রতিষ্ঠা করেন। কালরুদ্র মুর্তিটি শিবের ভৈরব মুর্তি, যার বাহন কুকুর। কালরুদ্র ভৈরব নাম অনুসারে নাম করণ হয় রুদ্রদেব মন্দির। আবার কাল রুদ্র নাম অনুসারে এই রুদ্রদেব মন্দির এবং রুদ্র সিংহ নাম অনুসারে এই রুদ্রদেব বলা হত। এই দুটি মত চলিত আছে। বর্তমানে এই বৌদ্ধ মুর্তিটি হরিদ্বার থেকে নিয়ে আসা হয়। তারপর আজও পুজো হয় বিভিন্ন সময়ে। বাঘডাঙ্গা রাজ পরিবার ও জেমো রাজ পরিবার এই বর্তমান মন্দির টি তৈরি করে ১৩০৯ সালে।
advertisement
পূর্ব দিকে ও পশ্চিম দিকে যে শিব মন্দির আছে দুটি বাঘডাঙ্গা রাজ পরিবারের ও দুটি জেমো রাজ পরিবারের। এই শিব মন্দিরের ওপরে দরজার ওপরে টেরাকোটা কাজ আছে। বর্তমানে শুধু শিবরাত্রী নয় বছরের অন্যান্য সময় পুজো করা হয়। বেশি হয় রবিবারে। অন্যদিকে বছরের অন্যতম উৎসব গাজন উৎসব। চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে বাবা রুদ্রদেব কে পাল্কি করে গোটা শহর পরিক্রমা করানো হয়। যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। শিবরাত্রী উপলক্ষে নিজেদের মনস্কামনা পূরণ করতে সকাল থেকেই ভিড় ভক্তদের ।