সাগরদিঘির উপনির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলকে হারিয়ে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস। সেই এলাকায় কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলির কর্মীরা প্রাণপাত লড়াই করে যাঁকে জেতানোর চেষ্টা করেছিলেন, সেই বায়রনের তৃণমূলে যোগদানে রীতিমতো স্তম্ভিত সাগরদিঘির বাসিন্দারা৷ কংগ্রেস তো বটেই, বাম কর্মী সমর্থকরাও বায়রনের এই ভোলবদল মানতে পারছেন না৷
আরও পড়ুন: ‘এক মাঘে শীত যায় না!’ জবাব রাজনীতির মাঠেই, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অধীরের
advertisement
প্রাক্তন বিধায়ক সুব্রত সাহার আকস্মিক মৃত্যুর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয়। বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী হয়ে ভোটে দাড়িয়েছিলেন শিল্পপতি বায়রন বিশ্বাস।শাসক তৃণমূলকে হারিয়ে প্রায় ২৩হাজার ভোটে জয় হয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের। কিন্তু বিধায়ক পদ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন বায়রন।
বায়রন বিশ্বাসের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান মেনে নিতে পারছেন না সাগরদিঘির বাসিন্দারা। বায়রনকে বিশ্বাসঘাতকও বলছেন কংগ্রেস এবং বাম কর্মী সমর্থকরা। কংগ্রেস ও সিপিআই নেতা ও কর্মীরা যাঁরা মরনপণ লড়াই করে জেতানোর চেষ্টা করেছিলেন, বায়রনের তৃণমূলে যোগদানে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের জন্য নয়, ব্যক্তিগত স্বার্থে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বায়রন।
তবে বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদানকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। কংগ্রেসের হয়ে তিনি জেতার পর সাগরদিঘির সে অর্থে কোনও উন্নয়ন হয়নি বলেও অভিযোগ উঠছে। এবার সাগরদিঘির উন্নয়ন হবে, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। বায়রনকে স্বাগত জানাচ্ছেন সাগরদিঘির তৃণমূল কর্মীরা।
