নতুন জমির পাট্টা পেয়ে খুশি ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষেরা। বৃহস্পতিবার মালদহের প্রশাসনিক সভা থেকে সামশেরগঞ্জের ভাঙন প্রতিরোধে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর শুক্রবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে আরও ৫০কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার জন্য ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১০ বছরের মধ্যে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, মুখ্য সচিব ও জেলা আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্বলছে মণিপুর, কেন কর্ণাটকে প্রচারে ব্যস্ত? অমিত শাহ চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ
তবে গতকালের সভা থেকে গঙ্গা ভাঙনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত গঙ্গা নদী তার গতিপথ বদলাচ্ছে। তবে গঙ্গা ভাঙনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। গঙ্গা ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। আমরা অনেকবার কথা বলেছি। কিন্তু কেন্দ্র আমাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেনি। যখন ইন্দো ফরাক্কা বাংলাদেশ জলচুক্তি হয়, তখন রাজ্যের ৭০০কোটি টাকা পাওয়ার ছিল। কিন্তু কোনও টাকা আমরা পাইনি। কেন্দ্রীয় সরকার মিথ্যা রাজনীতি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে যদি সঠিক কাজ করত, তাহলে ভাঙন এতটা ভয়াবহ হত না। আগে রাজ্য সরকার কর তুলত, সেখান থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হত। এখন কেন্দ্র জিএসটি নিয়ে নেয়। কিন্তু আমাদের একটাও টাকা দেয় না।। ২০২৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার বাংলাকে কোনও টাকা দেবে না।’
তবে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ভাঙন কবলিত মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এই খরার সময় তিনি এসেছেন। ভরা বর্ষায় ভাঙনে যখন হাজার হাজার মানুষের ঘর বাড়ি, মন্দির, স্কুল, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি সব তলিয়ে গিয়েছিল, তখন তিনি কোথায় ছিলেন?’