বুধবার বহরমপুরে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী৷ বহরমপুরের সাংসদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, কমিশন, রাজ্য সরকার এবং শাসক দল মিলিত ভােব এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত৷
অধীর চৌধুরী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র চলছে৷ এই ষড়যন্ত্র পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকে আজ পর্যন্ত চলছে৷ তৃণমূলের ক্রীতদাসকে নির্বাচন কমিশনার পদে বসানো হল৷ এমন ভাবে নির্বাচন ঘোষণা করা হল যাতে বিরোধীরা অপ্রস্তুত অবস্থায় থাকে, মনোনয়ন জমার জন্য পর্যাপ্ত সময় না পায়৷’
advertisement
আরও পড়ুন: এখনও যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী কেমন আছেন এখন?
অধীর চৌধুরীর আরও অভিযোগ, ‘বিভিন্ন প্রেসে ডবল ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে৷ সেই ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন বুথ থেকে স্ট্রং রুমে যাওয়ার পথে পরিবর্তিত হবে। এই ষড়যন্ত্রে অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় পুরুলিয়ায় তিনজন আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাংলায় এক ভয়ঙ্কর কারচুপি খেলা খেলছে এই তৃণমূল দল। এখানে নকল ব্যালটের সাহায্যে জনমতকে পরিবর্তন করা হচ্ছে৷ এভাবেই নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে চাইছে শাসক দল৷ আগামী দিনে বাংলার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছে তারা৷’
মাত্র কয়েক দিন আগেই পটনায় বিরোধী শিবিরের বৈঠকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল রাহুুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের৷ সেই বৈঠকের পর জাতীয় স্তরে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিল দু পক্ষই৷ কি়ন্তু ওই বৈঠকের পরই অধীর চৌধুরী দাবি করেছিলেন, বাংলায় এই জোট কার্যকর হবে না৷ আবার তৃণমূলও স্পষ্ট করে দিয়েছে, পটনার বৈঠকের শর্ত মেনে এ রাজ্যে শক্তির নিরিখে বাম, কংগ্রেসের নিরিখে তাদেরকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে৷
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটকে আক্রমণ করেছেন৷ এবার পাল্টা সুর চড়ালেন অধীরও৷ ফলে রাজ্য স্তরে দুই দলের এই সংঘাত জাতীয় স্তরে কংগ্রেস-তৃণমূলের সমঝোতায় অন্তরায় সৃষ্টি করে কি না, তা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে৷ যদিও অধীর চৌধুরীর এ দিনের অভিযোগকে গুরুত্বই দিতে চাননি মুর্শিদাবাদের শাসক দলের নেতারা৷