গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে কোনওভাবেই মানা হবে না তা দ্ব্যর্থহীন ভাবেই জানিয়ে দেন অভিষেক। সোমবার দলের বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীকে অভিষেক বকাবকিও করেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। সংগঠনের সবাইকে একসঙ্গে না চললে তাকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন অভিষেক। বেশ কয়েকটি ব্লকের নেতৃত্বের সঙ্গে বিধায়কদের সম্পর্ক যে তলানি রয়েছে, তা নিয়ে আপোশে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দেন তৃণমূল সাংসদ।
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপিকে ‘DVD-ক্যাসেট’ খোঁচা অভিষেকের…! বহরমপুরে ২০২৬ নিয়ে করলেন ‘বড়’ দাবি
জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায় বলেন, সংগঠননের সবাইকে নিয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে আগামী পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের জন্য বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টেডিয়াম মাঠে বৈঠক সেরে বহরমপুর থেকে নবগ্রামে এসে পৌঁছয় অভিষেকের নব জোয়ার যাত্রা। নবগ্রামের ভোলাডাঙা ফুটবল ময়দানে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনের জনসভা থেকে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনের ডাক দিলেন অভিষেক।
তিনি বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর একমাত্র বাংলাকেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এই জেলার ২০ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনে কাজের উপর নির্ভরশীল। ১০০ দিনের কাজের টাকাও কেন্দ্র সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনার বাড়ির ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র সরকার আর ৪০ শতাংশ টাকা দেয় রাজ্য সরকার। সেই টাকাও কেন্দ্র সরকার আটকে রেখে দিয়েছে। এই সব টাকা ছিনিয়ে আনতে আমাদের সংগঠিত ভাবে আন্দোলন করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন পড়লে আমরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন শুরু করব।’
নবগ্রামের সভা শেষ করে খড়গ্রামের শেরপুরে এসে পৌঁছায় নবজোয়ার কর্মসূচি। খড়গ্রামের রোড শোতে ঢাক ঢোল, ধামসা মাদলের তালে স্বাগত জানানো হয় অভিষেককে। খড়গ্রামে ইন্দ্রানী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আলতামাস কবীরের বাড়ির সামনে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন। অসংখ্য কর্মী সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এর পর কান্দির জীবন্তি হয়ে রোড শো করে বড়ঞায় এসে পৌঁছয় নব জোয়ার যাত্রা। বড়ঞায় ইন্দিরা নগর কুলি মাঠে রাত্রিবাস করেন অভিষেক।