ফেডারেল ফ্রন্টের গুরুত্ব আছে। কংগ্রেস একক ভাবে কিছু করতে পারবে না। তাই সব রাজ্যের এক হওয়া উচিত। কমন মিনিমাম অ্যাজেন্ডা তৈরি করে একসঙ্গে কাজ করা উচিত বলে জানালেন মমতা ৷
বছর গড়ালেই লোকসভা নির্বাচন। মোদি সরকারকে উৎখাত করতে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার পক্ষে অনেক দিন ধরেই তৎপর হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও শিবসেনা, কখনও আবার তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু, এই ফ্রন্টে কি কংগ্রেসের জন্যও দরজা খোলা? মঙ্গলবার নিউজ এইটিন বাংলার স্টুডিওয় এসে তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেসে আপত্তি নেই। তবে তাদেরও সমঝোতার ফর্মুলা মেনে চলতে হবে।
advertisement
কংগ্রেস ফেডারেল ফ্রন্টে থাকলে আপত্তির কী আছে, তবে তাদের একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলা মানতে হবে। যেখানে শক্তিশালী সেখানে তাদের জন্য আসন ছাড়তে হবে। কর্ণাটকে কংগ্রেস জিতবে, কিন্তু, দেবগৌড়ার সাপোর্ট লাগবে, রাজস্থানে কংগ্রেস জিতবে, ছত্তীসগড়ে আধাআধি, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সম্ভাবনা আছে ৷
কংগ্রেসের জন্য দরজা খোলা। কিন্তু, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব মানতে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, বললেই পায়ে পড়ব না কি..রাহুলের পায়ে পড়তে পারব না...আমি কংগ্রেসের সব কথা শুনি না..যেমন প্রধান বিচারপতির ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবে সই করিনি ৷
বিজেপি অবশ্য কোনও দিনই মমতার এই চক্রান্তের অভিযোগ মানেনি। ফেডারেল ফ্রন্টের তৎপরতাকেও তারা গুরুত্ব দিতে নারাজ। শেষমেশ ফেডারেল ফ্রন্ট হয় কি না, হলে তাতে কারা কারা থাকে, তা অবশ্য সময়ই বলবে।