এনিয়ে ড্রাগ ইনস্পেক্টর কৌশিক মাইতি বলেন,বেশকিছু দোকান থেকে নমুনা সংগ্রহও করা হয়েছে। সংগৃহীত যেসব হ্যান্ড স্যানিটাইজারের গুনমান নিম্ন, সেইসব হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০০ লিটারের বেশি স্যানিটাইজার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চারজন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, আটক ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কোথা থেকে তাঁরা স্যানিটাইজার আনতেন, কোন প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছ থেকে তাঁরা এই স্যানিটাইজারগুলি আনতেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
advertisement
করোনার প্রথম ঢেউ এর সময় স্যানিটাইজারের আকাল দেখা দিয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় কালোবাজারিও শুরু হয়েছিল। করোনার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন মাস্ক-স্যানিটাইজার নিয়ে যাতে কোনো কালোবাজারি না হয় তার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সময়ও করোনার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে কালোবাজারির চেষ্টা করেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তা করা হাতে দমনও করেছে প্রশাসন। করোনার রীতি কিছুটা স্থিত হওয়ার পরও মানুষ সাবধানতা অবলম্বন করতে ভুলছেন না। সাধারণ মানুষ সাবধানে পথ চলতে চাইছেন যাতে তৃতীয় ধাক্কা আঘাত করতে না পারে। সেই সুযোগেই আবার কিছু ব্যবসায়ী কালোবাজারি শুরু করেছে। উল্লেখ্য, অনেক ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় কম দামে কেনা স্যানিটাইজার সাধারণের কাছে বিক্রি করছেন বেশি দামে। ফলে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা পড়ছেন সমস্যায়। রাজ্য নির্দেশ দিয়েছিল মাস্ক আবশ্যক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার করতে হবে। সরকারের নির্দেশ ও নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সাধারন মানুষ মাস্কের সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। প্রত্যেকটি পরিবার পিছু প্রতিমাসে কয়েক লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার হয়। ফলে বিক্রি বেড়েই চলেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের।কিন্তু এভাবে স্যানিটাইজার নিয়ে কালোবাজারি হতে দেখি এখন আতঙ্কে রয়েছে বর্ধমানবাসী।