প্রেম প্রকাশ নামে ওই কর্মী হোটেলের কম্পিউটার সিস্টেম থেকে কোন অতিথির কত টাকা বকেয়া, সেই তথ্য তত্ত্বাবধান করেন৷ হোটেল কর্তৃপক্ষের ধারণা, প্রেম প্রকাশের কারসাজিতেই ৬০৩ দিন পাঁচতারা হোটেলে বিনাখরচে থাকতে পেরেছিলেন অঙ্কুশ৷ হয়তো তিনি বিনিময়ে কিছু টাকা দিয়েছিলেন প্রেম প্রকাশকে৷ কিন্তু অঙ্কুশের কাছ থেকে যে ৫৮ লক্ষ টাকা হোটেল পাবে, সেই তথ্য গোপন করেছিলেন স্বয়ং প্রেম প্রকাশ৷
advertisement
বিলাসবহুল এই হোটেলের দাবি ২০১৯ সালের ৩০ মে এই হোটেলের একটি ঘরে চেক ইন অঙ্কুশ৷ তাঁর চেক আউট করার কথা ছিল ৩১ মে৷ কিন্তু অভিযোগ, পরিবর্তে তিনি ওই হোটেলে ছিলেন ২০২১-এর ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত৷ হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রেম প্রকাশের সাহায্য ছাড়া এটা কোনওমতেই সম্ভব হত না৷ অভিযোগ, প্রেম এই বকেয়া বিলের কথা বেমালুম চেপে যান৷ অথচ নিয়ম হল, কোনও অতিথির বিল ৭২ ঘণ্টার বেশি বকেয়া থাকলেই তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে৷ অভিযোগ, সে সব না করে প্রেম চেষ্টা করেছেন যাতে অঙ্কুশের বকেয়া বিল অন্য অতিথিদের খাতে দেখানো যায়৷
অভিযোগ, অঙ্কুশ ১০ লক্ষ, ৭ লক্ষ এবং ২০ লক্ষ টাকার তিনটি চেক হোটেলে জমা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তিনটি চেকই বাউন্স করে৷ কিন্তু সে তথ্যও প্রেম সম্পূর্ণ গোপন করে গিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করবে৷