১. তদাসন (TADASANA)
পাহাড় যেমন খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে, এই আসনেও সেটাই রতে হয়। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাতদুটো তুলতে হয় উপরে টানটান করে, তার পর দুই হাতের আঙুলগুলো জুড়তে হয় পরস্পরের সঙ্গে। পরের ধাপে গোড়ালি ধীরে ধীরে তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হয়। এই ভাবে ৬ পর্যন্ত গুণে আবার ফিরে আসতে হয় আগের অবস্থায়, বার কয়েক আসনটি চালিয়ে যেতে হয়। এটি উরু, দেহসন্ধি, গোড়ালির পক্ষে খুবই উপকারী; শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় কাজে আসে।
advertisement
২. উৎকটাসন (UTKATASANA)
সোজা হয়ে প্রথমে দাঁড়াতে হবে। এর পর দুই হাত সামনের দিকে জোড় করতে হবে প্রণামের ভঙ্গীতে। তার পর চেয়ারে বসার মতো করে স্থির হয়ে থাকতে হবে কিছুক্ষণ, ৬ গুণতে যতক্ষণ সময় লাগে। তার পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে এবং এই ভাবেআসনটি চালিয়ে যেতে হবে।
৩. বজ্রাসন (VAJRASANA)
নিতম্বের যথাযথ গঠন এবং বজ্রের মতো শক্তিশালী মেরুদণ্ড পেতে হলে এই আসনের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে হাঁটু মুড়ে, শিরদাঁড়া সোজা করে কিছুক্ষণ বসে থাকলেই হবে, নিশ্বাস-প্রশ্বাস থাকবে ধীর গতিতে।
৪. বালাসন (BALASANA)
বজ্রাসনের ভঙ্গীতে হাঁটু মুড়ে বসতে হবে। তার পর উপুড় হয়ে প্রণামের ভঙ্গীতে ঝুঁকতে হবে সামনের দিকে। কিছুক্ষণ এই ভাবে থেকে আবার ফিরে আসতে হবে আগের অবস্থায়, এই ভাবে বারকয়েক এই আসন করতে হবে।
৫. ভুজঙ্গাসন (BHUJANGASANA)
উপুড় হয়ে প্রথমে শুয়ে পড়তে হবে। তার পর দুই হাতে ভর দিয়ে দেহের সামনের দিকটা কিছুটা তুলতে হবে। ৬ গুনতে যতটা সময় লাগে, ততক্ষণ থেকে আবার ফিরে আসতে হবে আগের অবস্থায়, এই ভাবে এই আসন চালিয়ে যেতে হবে।
৬. পশ্চিমোত্তনাসন (PASCHIMOTTANASANA)
পা ছড়িয়ে, শিরদাঁড়া সোজা করে বসতে হবে। এবার দুই হাত সামনের দিকে ছড়িয়ে স্পর্শ করতে হবে পায়ের আঙুল। খেয়াল রাখা দরকার- শরীরে যেন সামর্থ্যের বেশি চাপ না পড়ে!