নিয়মিত খেজুরের রস খেতে পারলে তা শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে, অজান্তেই এই রস বাসি করে খেয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনছেন না তো? কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই খেজুরের রস বাসি করে বিক্রি করছেন প্রতিনিয়ত যা শরীরের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর। চিকিৎসক তন্ময় সূত্রধর জানান, “খেজুরের রস প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক, এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে, যাতে মন হয় একেবারেই চাঙ্গা। শীতের দিনে শরীরে ক্লান্তিভাব একটু বেশি থাকে। এছাড়াও সর্দি, কাশি, পেটের সমস্যা এবং নানা সংক্রমণজনিত সমস্যার কারণে শরীরও একটু কমজোরি থাকে। আর সেক্ষেত্রে খুব কাজে আসে এই খেজুরের রস। একজন সুস্থ মানুষ সকালে এক থেকে দুই গ্লাস রস খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খেলেও সমস্যা নেই।”
advertisement
কিন্তু খেজুরের রস বাসি করে খেলে ক্ষতিকর। এতে রসের স্বাদ যেমন নষ্ট হয়, তেমন অম্লতা বাড়ে। বেশি বেলা করে খেজুর রস খেলে বমিও হতে পারে। পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। ” শীতকাল পড়তেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ কারবার শুরু করেছে। টাটকা খেজুরের রস বিক্রি না হলে সেটা দু-তিনদিন বাঁচিয়ে রেখে বাসি অবস্থায় বিক্রি করছেন প্রতিনিয়ত। এই রস খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খুব সকালবেলা সূর্যের তাপ বেড়ে যাওয়ার আগেই রস পান করা উচিৎ। ফাঙ্গাস বা ছত্রাক বাতাসে ভেসে রসের সঙ্গে মিশে যায় এবং সূর্যের তাপে গরম হওয়া রসে প্রথমে অ্যালকোহল তৈরি হয়। পরে আরও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিনিগার তৈরি হয়। এই রসে পেটের গণ্ডগোল কেউ আটকাতে পারবে না।
সুস্মিতা গোস্বামী