বিভিন্ন ধরনের লেপ-কম্বলের উপাদান ভিন্ন হয় এবং সেই অনুযায়ী প্রতিটির নিজস্ব সুবিধাও রয়েছে। যেমন-
১. সুতির কাপড়ের কম্বল হালকা, নরম এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক হয়। এগুলি ধোয়াও সহজ। তবে খুব বেশি ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সুতির কাপড়ের কম্বল ভালো কাজ করে না।
২. শীতকালে কম্বল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিজেকে উষ্ণ রাখাকেই সকলে প্রাধান্য দেয়। সেক্ষেত্রে উল বা কাশ্মীরের কম্বল পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকে।
advertisement
৩. যদি উলে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে বিকল্প হিসাবে সিন্থেটিক উপকরণের বা ভেড়ার লোম দিয়ে তৈরি কম্বল ব্যবহার করা যায়। ভেড়ার লোমের কম্বল তুলনামূলকভাবে বাড়িতে ধোয়াও বেশ সহজ।
৪. আরেকটি সিন্থেটিক বিকল্প হল এক্রাইলিক যা মেশিনে ধোয়া যায় এবং বাতাসের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।
৫. সবশেষে রয়েছে পলিয়েস্টার কম্বল যা দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা যায়। এই ধরনের কম্বলগুলো মেশিনে ধুলেও আকারের কোনও পরিবর্তন হয় না।
আরও পড়ুন - পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয় ঋতুস্রাবের সময়ে? কী কী খেলে ব্যথা দূর হবে
লেপ-কম্বল বেছে নিতে যে বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে-
লেপ-কম্বল পছন্দের সময় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় তা হল সেই নির্দিষ্ট লেপ-কম্বলটি আমাদের কতটা উষ্ণতা দেয়৷ সেক্ষেত্রে উলের কম্বল, ডুভেট এবং কমফর্টার শীতকালে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। ডুভেটের জন্য আমরা বেশি উষ্ণতা পেতে মোটা ডুভেট কভার বেছে নিতে পারি। অল্প ঠাণ্ডার জন্য আবার হালকা কম্বল এবং লেপ ভালো। আবার এসি ঘরে কিছু গায়ে দিতে চাইলে গরমকালে হালকা দোহারও ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন - শীতে কাবু হয়ে কি মোজা পরে ঘুমাতে যান? জেনে নিন শরীরের কী চরম ক্ষতি করছেন!
অন্য দিকে, ডুভেট বিছানার চাদরে উপরে পাতলে খুব ভালো দেখায়। সেক্ষেত্রে ডুভেট কভার এবং কমফর্টারের সঙ্গে মানানসই বালিশও পাওয়া যায়। তবে কম্বল বেডকভার হিসাবে খুব একটা ব্যবহৃত হয় না। আবার তোষক, ভেড়ার কম্বল এবং দোহার শিশুদের জন্য খুব ভালো কারণ এগুলি নরম হলেও মোটা হয় না বলে বেশ উষ্ণতা দেয়। বাচ্চাদের কিংবা অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে নিয়মিত বেডকভার ধোয়া উচিত। সেক্ষেত্রে হালকা ওজনের দোহার এবং তোষকের পাশাপাশি তুলো, পলিয়েস্টার বা ভেড়ার কম্বল সহজেই হাতে বা মেশিনে ধোয়া যায়। মনে রাখা দরকার- লেপ-কম্বল যত ভারী ও মোটা হবে, ততই ধোয়া মুশকিল হবে৷ আবার যদি দু'জন একসঙ্গে কোনও কম্বল বা কমফর্টার গায়ে দেওয়া হয়, তাহলে এক সাইজ বড় মাপের কেনা ভালো!