রাসায়নিকযুক্ত পণ্য নয়: মুখের ক্রিম বা ক্লিনজারে অনেক রাসয়নিক থাকে । দীর্ঘ দিন ধরে সেসব ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে ত্বকে পরিবর্তন আসে । এর ফলে মুখে অনেক সময় সাদা দাগ হতে পারে । শ্যাম্পু, কন্ডিশনার থেকে ফেসওয়াশ, বডিওয়াশ ব্যবহারেও এমনটা হতে পারে । পারফিউম, এমনকী লন্ড্রির ডিটারজেন্টের কারণেও এটা হতে পারে । তাই কম রাসায়নিক, সুগন্ধহীন এবং সালফেট এবং প্যারাবেনস আছে এমন পণ্য ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে ।
advertisement
ফল এবং শাকসবজি: শরীরে যা যায় ত্বকে সেটাই প্রভাব ফেলে । তাই টাটকা এবং পুষ্টিকর ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । এগুলো সাদা দাগ সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে ।
আরও পড়ুন : বর্ষায় বাড়ে গোপনাঙ্গের সংক্রমণ, কীভাবে যত্ন নেবেন মহিলারা?
ময়শ্চারাইজার: গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে সাধারণত এই দাগ চোখে-মুখে দেখা যায়, তারপর শরীরে ছড়িয়ে পড়ে । এই সব ঋতুতে ত্বকের সর্বাধিক পুষ্টির প্রয়োজন । ত্বককে শুধু ভিতর থেকে নয় বাইরে থেকেই হাইড্রেটেড রাখতে হবে । আক্রান্ত স্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে বলা হয় । এটি আঁশযুক্ত এবং শুষ্ক প্যাচগুলিকে নরম করার পাশাপাশি নিরাময় প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করে ।
হাইপোলার্জেনিক পণ্য: এখন প্রশ্ন হতে পারে, এটা আবার কী ? এটা এমন পণ্য যাতে আরও ভাল উপাদান এবং ন্যূনতম রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে । রাসায়নিকগুলির কারণেই ত্বক ঔজ্জ্বল্য, উজ্জ্বলতা এবং হাইড্রেশন হারায়, যার ফলে সাদা দাগ এবং শুষ্ক, আঁশযুক্ত ত্বক হয় ।
আরও পড়ুন : ইন্টারকোর্স না করেও এই উপায়ে পাওয়া যায় শরীরী সঙ্গমের তৃপ্তি ও আনন্দ
সানস্ক্রিন: আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি সবসময় ত্বকে খারাপ প্রভাব ফেলে । সাদা দাগও একই ফল । বাইরে বেরলে রোদ থাকুক বা না থাকুক, একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন লাগাতেই হবে ।
আরও পড়ুন : রোজ হলুদ খান? এটাই আসলে আপনাকে অসুস্থ করে তুলছে না তো?
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মুখ ধুতে হবে: শুরুতেই বলা হয়েছে, সাদা দাগ হওয়ার মূল কারণ অতিরিক্ত রাসয়নিক । তাই দোকানের ফেসওয়াশ বা অন্য কোনও প্রোডাক্টের বদলে ঘরোয়া উপাদানে তৈরি প্যাক, মাস্ক বা ক্লিনজার ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ ।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসওয়াশ, ফেস প্যাক, মাস্ক বা ক্লিনজার তৈরির জন্য অ্যালোভেরা, নিমের তেল, মধু, তুলসি, লাল কাদামাটি এবং অ্যাপল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফল মিলবে ।
