গবেষক তথা সমীক্ষকরা ২০০৫-০৬ থেকে শুরু করে ২০১৯-২১ পর্যন্ত তথ্য অনুসন্ধান করেছেন৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে জনসংখ্যাবৃদ্ধি, সম্পদবৃদ্ধি এবং খাদ্যগ্রহণের পরিবর্তিত ধারায় মাছ খাওয়ার হার অনেকটাই বেড়েছে ভারতবাসীর মধ্যে৷ ২০১৯-২০ সালের পরিসংখ্যান বলছে ৫.৯৫% ভারতবাসী রোজ মাছ খান৷ সপ্তাহে অন্তত ১ দিন খান ৩৪.৮% এবং খান মাঝে মাঝে মাছ মুখে তোলেন ৩১.৩৫% দেশবাসী৷
advertisement
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারত এবং উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি, তামিলনাড়ু, কেরল, গোয়ার মানুষ বেশি হারে মাছ খান৷ উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি যেমন পঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানের মানুষ খুব কম মাছ খান, মাত্র ৩০%৷ কিন্তু সুদূর উত্তরে জম্মু কাশ্মীরে আবার মাছ খাওয়ার হার বেড়েছে অনেকটাই৷ রিপোর্ট বলছে, দৈনিক আহারে সবথেকে বেশি মাছ খান কেরল ও গোয়ার মানুষ৷
আরও পড়ুন : ডাইজেস্টিভ বিস্কুট খেলে কি সত্যি ওজন কমে? এই বিস্কুট উপকারী না ক্ষতিকর? জানুন সত্যিটা
পাশাপাশি সার্বিক ভাবে শতকরার দিক থেকে সবথেকে বেশি মাছ খান ত্রিপুরার মানুষ৷ তার পর আছেন যথাক্রমে মণিপুর, অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ৷ অর্থাৎ শতকরার হিসেবে সর্বোচ্চ মাছ ভক্ষণকারীদের তালিকায় বাংলার স্থান ষষ্ঠ৷ অন্যদিকে সারা দেশে সবথেকে কম মাছ খান হরিয়ানাবাসী৷ মাত্র ২০.৬%৷ তার পরে আছে পঞ্জাব এবং রাজস্থান৷
দেশের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে পার ক্যাপিটা বার্ষিক হিসেবে সবথেকে বেশি মাছ খান লক্ষদ্বীপের বাসিন্দারা৷ তার পর তালিকায় আছে যথাক্রমে গোয়া, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ত্রিপুরা এবং ছত্তীসগঢ়৷ অর্থাৎ এই পরিসংখ্যানেও প্রথম পাঁচে নেই বাংলা! বাঙালি মানেই মাছে ভাতে-আমাদের চেনা ভাবনার এই মৎস্যপুরাণ বাস্তবের সমীক্ষায় দেখা দিল উলটপুরাণ হয়ে৷