অগাধ পুষ্টিমূল্য এবং বিস্ময়কর উপকারিতার জন্য হুইটগ্রাস বা গমশাককে বলা হয় ‘সুপারফুড’ (Superfood) ৷ সাধারণত তাজা রস তৈরি করে খাওয়া হয় হুইটগ্রাস (Health benefits of Wheatgrass) ৷ পাওয়া যায় এর গুঁড়োও৷ প্রয়োজনমতো মিশিয়ে নেওয়া যায় শেক ও স্মুদিতে ৷
হুইটগ্রাস হজম করা শক্ত ৷ কিন্তু যদি এক বার সয়ে যায়, তা হলে এর মতো ‘সুপারফুড’ অনন্য ৷ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালে ভরপুর হুইটগ্রাস ৷
advertisement
উৎসেচকে সমৃদ্ধ হুইটগ্রাস সাহায্য করে হজমে ৷ তবে এই শাক নিজে কিছুটা দুষ্পাচ্য ৷ কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ হজমের বেশ কিছু সমস্যায় হুইটগ্রাস উপকারী ৷
আরও পড়ুন : রান্নায় কারিপাতা দেন না? অজান্তেই ক্ষতি করছেন স্বাস্থ্যের
শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও হুইটগ্রাস জুড়িহীন ৷ ফলে কর্মক্ষমতা বেড়ে যায় ৷ সার্বিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে ৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে এর প্রভাবে ৷
হুইটগ্রাস খাওয়ার ফলে মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি পায়৷ তা ছাড়া এই গমশাকে কোনও স্নেহপদার্থ নেই ৷ এর ক্যালরির মাত্রাও কম৷ তাই যাঁরা বাড়তি ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন, শরণাপন্ন হতে পারেন হুইটগ্রাসের ৷
আরও পড়ুন : সর্দিকাশি, গলাব্যথার মতো সমস্যায় অন্ধের ষষ্ঠি ভেষজ ষষ্টিমধু ব্যবহারে বিপত্তিও আছে! জানেন তো?
হুইটগ্রাস খাওয়া শুরু করলে কম মাত্রায় করুন ৷ পরে সয়ে গেলে ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়াবেন ৷ অনেকের ক্ষেত্রে গমের শাকের প্রভাবে মাথাধরা, পেটের গণ্ডগোল, জ্বর, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে ৷ হুইটগ্রাস খাওয়া শুরুর পর দু’ থেকে আড়াই সপ্তাহ অবধি এই উপসর্গ থাকতে পারে ৷ তার পর ধীরে ধীরে চলে যাওয়ার কথা ৷ কিছু ক্ষেত্রে হুইটগ্রাস খাওয়া উচিত নয় ৷ অন্তঃসত্ত্বা এবং যে মহিলারা সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাঁদের এই শাক খাওয়া উচিত নয় ৷ তাছাড়া অ্যালার্জির সমস্যা, সেলিয়াক ডিজিজ, ব্লাড ডিজঅর্ডার, গ্লাটেন ইনটলারেন্স-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় এই শাক খেতে নিষেধ করা হয় ৷