কিন্তু সাহিত্যকে তো সমাজের দর্পণ বলা হয়ে থাকে। সমাজেও যে এমন ঘটনা ঘটে না, তা তো আর নয়! সেক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট নারীপুরুষ কষ্ট পায়, বিষয়টির জেরে হত্যাকাণ্ডের খবরও মাঝে মাঝে উঠে আসে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। তাই এই পর্বে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এক্ষেত্রে পুরুষের কী করণীয়, তা বিশ্লেষণ করেছেন। আমাদের জানিয়েছেন এক পাঠকের কথা।
advertisement
এই ব্যক্তি চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে বিয়ের ৮ বছর পর তিনি এবং তাঁর স্ত্রী Open Marriage সম্পর্কে আসতে চাইছেন। ইংরেজি এই পরিভাষার মানে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সঙ্গে আছেন, তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও আছে, কিন্তু পরস্পরের সম্মতি নিয়ে তাঁরা অন্যদের সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক রক্ষা করে থাকেন! এই ভদ্রলোক জানিয়েছেন যে তাঁর স্ত্রী আপাতত এক ব্যক্তির প্রতি তুমুল ভাবে আকর্ষিত হয়েছেন, কিন্তু স্বামীর খারাপ লাগতে পারে ভেবে এখনও যৌন সম্পর্কে যাননি!
সন্দেহ নেই, বিষয়টি জটিল! এক্ষেত্রে যদিও দম্পতির সম্মতি আছে পরকীয়ায়, তবু পল্লবীর পরামর্শ সব পুরুষেরই কাজে আসবে যাঁদের স্ত্রীরা পরপুরুষে আসক্ত! এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞা সবার আগে যৌন আকর্ষণ কী ভাবে তৈরি হয়, তা ব্যাখ্যা করেছেন। বলেছেন- তা স্বতস্ফূর্ত হতে পারে, আর হতে পারে প্রত্যক্ষ স্পর্শে! অতএব, যাঁরা এ হেন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁদের আগে বুঝতে হবে যে স্ত্রী কেন যৌন আকর্ষণ বোধ করছেন অন্য পুরুষের জন্য!
তবে কারণ যা-ই হোক না কেন, মাথা ঠাণ্ডা রেখে একটা সুষ্ঠু আলোচনা যে প্রয়োজন, সেটা উল্লেখ করতে ভুলছেন না পল্লবী। তাঁর দাবি- যদি দম্পতির মধ্যে বোঝাপড়া খুব পোক্ত হয়, তাহলে পরকীয়ার সম্পর্ক দাম্পত্যের ভাঙন ডেকে আনবে না। কিন্তু সেটা না হলে সম্পর্ক ভাঙবেই; অবিশ্বাস, পুরুষালি অহংবোধ বা Ego, প্রচলিত সামাজিক ধারণা- সমস্যা তৈরি করবে অনেক কিছুই!
তাই পল্লবী বলছেন- সবার আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া প্রয়োজন। যদি মনে হয়, স্ত্রীর সঙ্গে এভাবে বাকি জীবন কাটানো যাবে, তাহলে কোনও অসুবিধা নেই। সেটা না হলে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে কোনও এক পক্ষের সরে আসা-ই ভালো!
Pallavi Barnwal