ওজন কমানোর জন্য যাঁরা ওয়ার্কআউট করতে চান তাঁদের জন্য ভারোত্তোলন আদর্শ। পুশ-আপস, চেস্ট প্রেস, স্কোয়াটস, ডেডলিফট, সারি, কার্ল, ডিপস, শোল্ডার প্রেস এবং আরও অনেক ধরনের ভারোত্তোলন অনুশীলন রয়েছে। কিন্তু অনুশীলনে ভুল হলেই আঘাতের সম্ভাবনা থেকে যায়।
আরও পড়ুন: বয়স বাড়লেও ছাপ পড়বে না চোখে-মুখে! আয়ুর্বেদের ‘অভ্যঙ্গ’ উপচার যেন ম্যাজিক!
advertisement
ভারোত্তোলনের সময় যে ধরনের চোট-আঘাত খুব সাধারণ: একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ওয়েট ট্রেনিংয়ের সময় পেশির আঘাত যেমন ফ্র্যাকচার, হাড় সরে যাওয়া, স্পন্ডাইলোলাইসিস, স্পন্ডাইলোলিস্থেসিস, ইন্টারভার্টেব্রাল ডিস্ক হার্নিয়েশন এবং হাঁটুর মেনিস্কাল ইনজুরি হতে পারে।
পেক্টোরালিস টেন্ডন ফেটে যাওয়া: ভারোত্তোলনের সময় অনুশীলনে ভুল হলে পেক্টোরালিস টেন্ডন ফেটে যেতে পারে। পেক্টোরালিস পেশি হল বুকের ভরের বেশিরভাগ অংশ। বক্সিং এবং উইন্ডসার্ফিং খেলার সময়ও এই পেশি ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেঞ্চ প্রেসিংয়ের সময়ই পেক্টোরালিস টেন্ডনের ফেটে যাওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। এটা খুব সাধারণ ব্যায়াম, বিশেষ করে যারা সদ্য ভারোত্তোলন শুরু করছেন তাঁদের জন্য।
আরও পড়ুন: নতুন মা-বাবা হলে বোঝা কঠিন, সন্তানের মধ্যে এই ১০ লক্ষণ দেখলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান!
ডিস্টাল বাইসেপ টেন্ডন ফেটে যাওয়া: ভারোত্তোলকদের মধ্যেও ডিস্টাল বাইসেপ টেন্ডন ফেটে যাওয়া দেখা যায়। এটা সারাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়। বাইসেপ টেন্ডন ফেটে যাওয়ার রোগীর টেন্ডনের অ্যালোগ্রাফ্ট পুনর্গঠনের প্রয়োজন হতে পারে।
ক্যাপসুলোলাব্রাল ইনজুরি: কাঁধের ক্যাপসুলোলাব্রাল কমপ্লেক্সে আঘাত সাধারণত ক্রীড়াবিদদের মধ্যে দেখা যায়। তবে ভারোত্তোলকদের ক্ষেত্রে এই আঘাতের ঘটনা যথেষ্ট বেশি। ২০১৭ সালে অর্থোপেডিক্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
চোট আঘাত থেকে বাঁচার উপায়: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুশীলনের সময় প্রশিক্ষকরা বড় পেশির উপর বেশি ফোকাস করেন। ছোট ছোট পেশিগুলি উপেক্ষিত থেকে যায়। এতে জয়েন্টের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। ফলে চোট, আঘাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ওয়ার্কআউটের সময় আঘাত লাগতেই পারে, এটা খুব সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ঘন ঘন আঘাত লাগলে বা দীর্ঘস্থায়ী চোট পেলে ওয়ার্কআউট থেকে যে ফলাফল আশা করা হয়েছিল, তা নষ্ট হবে। তাছাড়া শরীরেরও ক্ষতি হবে। এজন্য প্রশিক্ষণ পদ্ধতির পরিবর্তন এবং শারীরিক থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। চোট উপেক্ষা করা উচিত নয়। আহত পেশিতে বেশি চাপ দেওয়াও অনুচিত। অস্ত্রোপচার এড়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যায়াম এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।